News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

ইন্ডিয়া বনাম ভারত: দেশের নাম নিয়ে হঠাৎ বিতর্ক শুরু ভারতে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2023-09-06, 8:56am

01000000-0aff-0242-0665-08dbae3107d5_w408_r1_s-53aabec88c4d95765a09483a172956071693969011.jpg




ভারতের রাজনৈতিক মহলে দেশের নাম নিয়ে এক অনভিপ্রেত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান সংশোধন করে দেশের নাম এবার পাকাপাকি ভাবে ভারত হয়ে যাচ্ছে কি না তাই নিয়ে। দেশে অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার ৫ অগাস্ট দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।

রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীগুলির সম্মেলন বসতে চলেছে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নৈশভোজের যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অব ভারত'। তার পরই নতুন কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে ইন্ডিয়া নামটি পাকাপাকি ছেড়ে দিয়ে ভারত হয়ে যাবে কি না রা নিয়ে।

রাষ্ট্রপতির ওই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি শিবিরের একাংশ উল্লাস শুরু করেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশ্বর্মা লিখেছেন, "রিপাবলিক অফ ভারত।" বিজেপি নেতারা বলতে শুরু করেছেন, 'জয় ভারতের জয়!' এমনকি বিজেপির শরিক দলের নেতারাও কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, "দেশের নাম ভারতই তো। এতে আপত্তি কোথায়?"

বিজেপি বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া দেওয়ার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল - ইন্ডিয়া বনাম ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার অনুগামীরা ইন্ডিয়া শব্দটিকে কখনও ঔপনিবেশিক বোঝা বলছেন, কখনও বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে দেখাতে চাইছেন। তবে এবার রাষ্ট্রপতি ‘ভারত’ নাম ব্যবহার করাতেই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।

কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এদিন বলেন, সংবিধানের প্রথম ধারাতেই বলা হয়েছে, “ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত হল রাজ্যগুলির একটি সঙ্ঘ। নরেন্দ্র মোদী জমানায় সেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ধারণাই আক্রান্ত।”

অন্যদিকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য শশী তারুর বলেছেন, “ভারত নাম ব্যবহার করতে কোনও সাংবিধানিক বাধা নেই। কারণ দেশের দু’টি সরকারি নামের একটি হল ভারত।” সেই সঙ্গে তারুর বলেন, “তবে আশাকরি ইন্ডিয়া নাম সরকার একেবারে ছেড়ে দেওয়ার বোকামি করবে না। কারণ, গত কয়েক শতাব্দী ধরে ইন্ডিয়া নামের একটা মূল্যবান ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়েছে।” তার কথায়, “আমাদের উচিৎ ইতিহাসে লালিত নামের প্রতি দাবি ত্যাগ করে দুটি নামই ব্যবহার করা । এমন একটি নাম যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।”

আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, "বিরোধী জোট ইন্ডিয়া নাম রাখায় ওরা দেশের নাম পাকাপাকি ভাবে ভারত করতে চাইছে। কিন্তু এবার যদি জোটের নাম ভারত রাখা হয়, তাহলে ওরা কি করবে? দেশের নাম বদলে বিজেপি করে দেবে?"

মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রবাহের পর নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র সরকার। তখন দেশের নাম পাকাপাকি ভাবে ভারত করার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনা হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, একটা বিষয় ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। তা হল, লোকসভা ভোটের আগে অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, মূল্যবদ্ধি পরিস্থিতি থেকে মুখ ঘোরানোর জন্য লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার বা কেন্দ্রের শাসক দল। সেই সঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদের হাওয়া তোলারও চেষ্টা হচ্ছে। যা প্রতিদিন ক্রমশ প্রকট হয়ে যাচ্ছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।