যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মঙ্গলবার দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র “অনেক সদস্য রাষ্ট্রের সাথে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ করেছে। আর, সংস্কার প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে নিতে, অভিন্ন ভিত্তি খুঁজে বের করতে এবং আগামী বছরে এ বিষয়ে অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে আমরা আমাদের অব্যাহত ভুমিকা অব্যাহত রাখবো।”
যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার মধ্যকার বিবাদ-বিরোধ প্রায়শই নিরাপত্তা পরিষদে অচলাবস্থার সৃষ্টি করে। এই তিন দেশ এবং ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নিরাপত্তা কাউন্সিলে স্থায়ী আসন রয়েছে। তারা যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করতে পারে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা দুই বছর মেয়াদের জন্য দশ অস্থায়ী সদস্য নির্বাচন করে। আর, প্রতি বছর পাঁচ সদস্যের বদল ঘটে। অস্থায়ী সদস্যদের কোনো ভেটো ক্ষমতা নেই।
জুলাই মাসে ওয়াশিংটন ভিত্তিক চিন্তক গোষ্ঠী আটলান্টিক কাউন্সিল প্রকাশিত, বিশ্বজুড়ে প্রধান কৌশলবিদদের পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৬৪ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন, নিরাপত্তা পরিষদ আগামী দশ বছর নতুন কোনো স্থায়ী সদস্য যুক্ত করবে না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যদি নতুন কোনো দেশকে যুক্ত করা হয় তবে তা হবে, সম্ভবত ভারত, জাপান বা ব্রাজিল।
চীন বহু বছর ধরে জোর দিয়ে বলছে যে, তারা প্রয়োজনীয় এবং যুক্তিসঙ্গত সংস্কার সমর্থন করে। তবে, দেশটি ব্যাপক ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়টিকে সমর্থন করে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।