News update
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     
  • Khulna’s ‘white gold’ shrimp eyes Tk 22,600cr export goal     |     

দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে পুনঃএকত্রীকরণের নীতি পরিত্যাগ করছে উত্তর কোরিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2024-01-17, 9:08am

5935b478-8a5c-463e-a2ac-1c382e224a62_w408_r1_s-1d9768bf84010042717bf6fc8780bd491705460927.jpg




দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে পুনরায় একত্রীকরণ চাওয়ার নীতি পরিত্যাগ করছে উত্তর কোরিয়া।

রাষ্ট্রচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ঊন সংবিধান সংশোধন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার “ মূল শত্রু এবং নিঃসন্দেহে প্রধান শত্রু”। সোমবার উত্তর কোরিয়ার নামমাত্র পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপলস এসেম্বলির সামনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি একথা বলেন।

কিম বলেন তিক্ত সম্পর্কে থাকা এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ শুরু হলে দক্ষিণ কোরিয়াকে “দখল, অধীনস্থ এবং পুনরুদ্ধার” করার পরিকল্পনাও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু করার কোনো ইচ্ছা নেই, তবে এড়িয়ে যাওয়ারও কোনো ইচ্ছা নেই।

মঙ্গলবার পার্লামেন্ট ঘোষণা করেছে, তারা পুনঃএকত্রীকরণ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগের জন্য কাজ করা দুটি সরকারি সংস্থা, সেইসাথে উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগাং রিসোর্টে দক্ষিণ কোরিয়ার সফরের প্রচারকারী সংস্থাকে বাতিল করছে।

কিম তার প্রয়াত পিতা কিম জং ইলের নির্মিত রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ “জাতীয় পুনঃএকত্রীক্রণের জন্য তিনটি চার্টারের স্মৃতিস্তম্ভ” সহ উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণের সমস্ত প্রতীক ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট কিম স্মৃতিস্তম্ভটিকে “চক্ষুশূল” বলে অভিহিত করেন।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার মন্ত্রিসভার সাথে বৈঠকের সময় কিমের মন্তব্যকে “দেশদ্রোহী এবং ইতিহাস-বিরোধী” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণ চালায় তাহলে উত্তর কোরিয়াকে “কঠোর থেকে কঠোরতর” শাস্তি দেয়া হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ১৯৪৫ সালে কয়েক দশক ধরে চলা জাপানের ঔপনিবেশিক দখলদারিত্ব সমাপ্ত হওয়ার পর কোরীয় উপদ্বীপ কমিউনিস্ট শাসিত উত্তর এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত দক্ষিণে বিভক্ত হয়ে যায়।

১৯৫০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়; ১৯৫৩ সালে যার সমাপ্তি ঘটে অস্ত্র বিরতির মাধ্যমে। এর ফলে উভয় পক্ষ কার্যত যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়ে গেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার উত্তেজনার আরও অবনতি ঘটেছে। এর কারণ উত্তর কোরিয়া আরও জোরেশোরে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কর্মসূচী শুরু করেছে এবং তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার প্রসারিত করার অঙ্গীকার করেছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।