News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত ভারত:মোদি

ভয়েস অফ আমেরিকা কুটনীতি 2024-08-26, 1:05pm

sfssfs-c8dd211c9c78132a93960e774c6b2fcc1724655922.jpg

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রেস অফিস থেকে দেওয়া এই ছবিতে, ইউক্রেনের কিয়েভে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে দেখা যাচ্ছে। ২৩ আগস্ট, ২০২৪।



যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে একটি যুগান্তকারী সফরের সময়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নয়াদিল্লি ইউক্রেনে শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টায় "একজন বন্ধু হিসাবে” সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

শুক্রবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে বৈঠকের সময় মোদী এই মন্তব্য করেন। দুই নেতার আলোচনায় দুই বছরেরও বেশি সময় আগে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

মোদী বলেন, "সমাধানের পথ কেবল সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আর আমাদের সময় ব্যয় না করে সেদিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য উভয় পক্ষেরই একসাথে বসা দরকার।"

মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাতের ছয় সপ্তাহ পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফর করলেন।

ভারত রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনার মুখে পড়ে। যুদ্ধের বিষয়ে ভারত একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে এই ধারণা নাকচ করে দিয়ে মোদী বলেন, “আমরা পক্ষ নিয়েছি, এবং সেটা হলো আমরা দৃঢ়ভাবে শান্তির পক্ষে আছি।"

তিনি আরও বলেন, ভারত ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে।

বৈঠক শুরু করার আগে মোদী এবং জেলেন্সকি সংঘাতে নিহত ইউক্রেনীয় শিশুদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, এক্স-এ একটি পোস্টে জেলেন্সকি লিখেন, “প্রতিটি দেশের শিশুরা নিরাপদে বসবাসের অধিকার রাখে। আমাদের অবশ্যই তা সম্ভব করতে হবে।”

মোদী ৮ এবং ৯ জুলাই মস্কো সফর করেন। সেসময় ইউক্রেনের একটি শিশু হাসপাতাল এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ হামলায় বেসামরিক মানুষ মারা যায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান জেলেন্সকি। তিনি ঐ হামলাকে “শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি একটি বিশাল হতাশাজনক এবং বিধ্বংসী আঘাত” বলে অভিহিত করেন এবং ভারতীয় নেতাকে “এমন একটি দিনে” পুতিনকে আলিঙ্গন করতে দেখা গেল বলে উষ্মা প্রকাশ করেন।

শুক্রবার, জেলেন্সকি মোদির সফরকে “বন্ধুত্বপূর্ণ”এবং প্রতীকীপূর্ণ বলে অভিহিত করেন। ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে মোদী এই সফর করলেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রমণ্যম জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের বলেন, মোদী এবং জেলেন্সকির মধ্যে এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ আলোচনা করা হয়।

মস্কোর একটি ঘনিষ্ঠ মিত্রের এই ইউক্রেন সফরকে সংঘাত নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া দেশগুলির কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাওয়ার জন্য একটি কূটনৈতিক আহ্বানের অংশ হিসাবে দেখা হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপদেষ্টা মাইখিলো পোদালিয়াক রয়টার্সকে বলেন, মস্কোর উপর নয়াদিল্লির "সত্যিই একটি নির্দিষ্ট প্রভাব রয়েছে"।

বিশ্লেষকরা বলেন, মোদীর সফরটি ইঙ্গিতবহ যে যদিও রাশিয়াকে পশ্চিমা দেশগুলি একঘরে করার সময় ভারত তাদের সাথে যোগ দেয়নি, তবু ভারত উভয় দেশের সাথে একটি স্বাধীন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।

বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি ও সম্প্রদায় উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে চারটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মোদীর ইউক্রেন সফর ক্রেমলিনের সাথে নয়াদিল্লির উষ্ণ সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। মস্কোর সাথে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক দ্রুত বেঁড়ে উঠছে কারণ ভারত রেকর্ড পরিমাণে রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক দেশটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু তারা এখনও রাশিয়ার অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল।