যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দুই নেতা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য চেষ্টা করতে হবে পাকিস্তানকে। তাদের মাটি ব্যবহার করে যাতে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী হামলা কেউ চালাতে না পারে–পাকিস্তানকেই তা নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-মোদির বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই ক্ষোভ প্রকাশ করে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান বলেন, ‘এ ধরনের বিবৃতিতে পাকিস্তান বিস্মিত। পাকিস্তান যে আত্মত্যাগ করেছে, তাকে গুরুত্বই দেয়া হচ্ছে না।’
শাফকাতের দাবি, মোদি-ট্রাম্পের বিবৃতি ‘একতরফা এবং বিভ্রান্তিকর’। এ ধরনের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থি’।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মদত দেয়ার অভিযোগ নিয়মিতই এনে থাকে ভারত। ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পর এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় জড়িত, তাকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তাহাউর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার জেলে তিনি বন্দি। কিছুদিন আগে তাকে ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছিল মার্কিন আদালত। তাহাউর সম্পর্কে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে বার্তা দেয় দুই দেশ। সময়