News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়ে ১৫ দেশের যৌথ বিবৃতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-07-31, 11:33am

a5a4745578ce7f63c1131a0fbb78f64c59a78d7d9c0e9e89-a779ce09e41f8c9e82d12dab70dd03611753940005.jpg




গাজায় যুদ্ধবিরতি ও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ১৫টি দেশ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের পাশাপাশি ফিনল্যান্ড, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। আনাদোলু এজেন্সি।

গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।

এই দেশগুলো ফ্রান্সের নেতৃত্বে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে, যেখানে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি ও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি স্বীকৃতি দিতে নতুন করে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে গত সোমবার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘ সদর দফতরে তিনদিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়। ফ্রান্স ও সৌদি আরব এই সম্মেলনের নেতৃত্ব দেয়। তবে ইসরাইল ও তার প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলন বয়কট করে।

গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে ফ্রান্সের পাশাপাশি আরও ১৪টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। দেশগুলো হলো- অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, সান মারিনো, স্লোভেনিয়া ও স্পেন।

বিবৃতি মতে, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নীতিমালা মেনে দুটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে অবশ্যই নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তের ভেতরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে হবে। বিবৃতিতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে একীভূত করার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে গত ১০ জুন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দেয়া প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মাহমুদ আব্বাস প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখ করেন, তিনি (১) ৭ই অক্টোবরের হামাসের ‘সন্ত্রাসী হামলা’র নিন্দা জানাচ্ছেন, 

(২) ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানাচ্ছেন, (৩) বন্দিদের অর্থ প্রদান ব্যবস্থা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, (৪) শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, (৫) এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং (৬) ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বেসামরিকীকরণ নীতি গ্রহণ করছেন।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ না নিলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য।

বিবৃতিতে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের আঞ্চলিক গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে আলোচনায় প্রবেশের আগ্রহ প্রকাশ করার’ আহ্বান জানাচ্ছি।’

জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ বর্তমানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে অথবা স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী পশ্চিমা দেশ এখনও স্বীকৃতি দেয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন গত মে মাসে জানায়, তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ।