জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এবং পরবর্তীতে- উভয় সময়ই শিনজো আবে জাপানের রাজনীতি এবং নিরাপত্তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। শুক্রবার পশ্চিম জাপানে একটি নির্বাচনী প্রচারাভিযানের অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন।
জাপানের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির উত্থানের পর আবে ২০০৬ সালে যুদ্ধোত্তর জাপানের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন। তবে আলসারেটিভ কোলাইটিস নামের একটি পেটপীড়ার কারণে মাত্র ১ বছর পর তিনি পদটি ছেড়ে দেন।
৫ বছর পরে আবে একটি রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন ঘটান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৮ বছরের মেয়াদ শুরু করেন যা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময়কালের অবসান ঘটায় এবং দেশে দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন নিয়ে আসে।
সেই সময় আবে জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দেশের মৈত্রী সম্প্রসারিত করেছেন এবং দেশের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছেন।
২০১৪ সালে আবের সরকার জাপানের শান্তিবাদী সংবিধানকে এমনভাবে পুনর্ব্যাখ্যা করেছিল যা আক্রমণের শিকার মিত্রকে সাহায্য করতে জাপানি সৈন্যদের তাত্ত্বিকভাবে অনুমতি দেয়।
২০১৮ সালে আবে একটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করেছিলেন যা নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাকে শক্তিশালী করেছিল। বিশেষজ্ঞরা এটিকে “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে জাপানের পররাষ্ট্র এবং নিরাপত্তা নীতির সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী পুনর্গঠন” বলে অভিহিত করেছেন।
টোকিওর ইয়ামানেকো রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লি মিউরা বলেছেন, আবের মৃত্যু বিশ্বে জাপানের অবস্থান নিয়ে বিতর্কে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।