শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে থাইল্যান্ডে অস্থায়ী ভাবে থাকার অনুরোধ করেছেন। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে তবে তিনি আশ্রয় চাইছেন না। বৃহস্পতিবার তিনি সিঙ্গাপুর ছেড়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ঐ দ্বীপ দেশটিতে ধারাবাহিক গণবিক্ষোভের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান। হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে এবং শ্রীলঙ্কার রাস্তায় এবং রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও দপ্তরে মিছিল করে।
রাজাপাকসে জুলাই মাসে পদত্যাগ করেন। তিনিই শ্রীলঙ্কার প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি মধ্য মেয়াদেই পদত্যাগ করলেন
সিঙ্গাপুরের সরকার এই মাসে বলেছে যে ঐ নগর-রাষ্ট্রটি তাকে কোনো সুযোগ-সুবিধা বা আইনি ব্যবস্থা থেকে সুরক্ষা দেয়নি।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র তানি সংগ্রাত বলেছেন, রাজাপাকসে তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে থাইল্যান্ডে ৯০ দিন থাকতে পারবেন।
সাংগ্রাত বলেন, "শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির থাইল্যান্ডে প্রবেশ একটি অস্থায়ী অবস্থানের জন্য। শ্রীলঙ্কার পক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই এবং পরে তিনি অন্য দেশে যাবেন।"
রাজাপাকসের কাছ থেকে তার ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনও ব্যক্তিগত বিবৃতি দেওয়া হয়নি, বা শ্রীলঙ্কা ছাড়ার পর থেকে তিনি কোথাও প্রকাশ্যে উপস্থিত হননি।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, রাজাপাকসের এর মধ্যে দেশে ফেরার কথা নয়।
প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের একজন সদস্য, ৭৩ বছর বয়সী রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীতে এবং পরে রাজনীতিতে আসার আগে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।