News update
  • Law to ban rice polishing effective from Aman season     |     
  • Khaleda back home from hospital     |     
  • Miton of Child, Old Age Care made fake death certificates     |     
  • Debt rescheduling cycle fuels inflation: Dr Farashuddin     |     

শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান হারিয়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2023-02-03, 9:25am

resize-350x230x0x0-image-210248-1675370915-b7629e1fc9a701c23aef914b4118aa111675394730.jpg




বৈশ্বিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যুনতম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ধরা হয়- প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক। তবে এক্ষেত্রে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে (২০২১) এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ঠিকমত না থাকলে শিক্ষার্থীদের সময়মত ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়া, সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ২ শত ৬৮ জন, শিক্ষার্থী ৬ হাজার ৫ জন রয়েছেন। শিক্ষকের মধ্যে আবার বিভিন্ন বিভাগের ৩৫ জন শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন৷

প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৩টি বিভাগে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এগুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে ফোকলোর এবং আইন ও বিচার বিভাগ। বিভাগ দুটিতে প্রতি ৩৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের মানদণ্ডের অনেক বাইরে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগ।

এছাড়া যেসব বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই সেগুলো হলো- স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, অর্থনীতি, পপুলেশন সায়েন্স, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও চারুকলা বিভাগ। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে পরিসংখ্যান বিভাগ। বিভাগটিতে প্রতি ১২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে ১ জন করে শিক্ষক।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, আমি জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তবে শিক্ষার গুণগত মান ঠিক রাখতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কমানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা না কমিয়ে শিক্ষক বাড়ানো উচিত। নাহলে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করা উচিত। করোনাকালীন সময়ে বেশকিছু শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা ছিল। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কিছু বিভাগে অনুপাতে তারতম্য হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এটি সমাধান হবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।