‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব ১৪৩১। গ্রামীণ সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন।
‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে ছুটে আয়...’ অগ্রহায়ণ আসলেই এমন আহ্বানে যেন পুরো গ্রাম মেতে ওঠে। কৃষকের মুখে হাসি ফোটে, জীবনে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।
তবে কৃষকের আনন্দ তার একার নয়। এই আনন্দ সবার। যান্ত্রিক জীবনে তরুণ প্রজন্মের মাঝে শেকড়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঢাবির চারুকলায় বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন আয়োজন।
পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির মায়াবী ধ্বনি, নাচ, গান আর আবৃত্তিতে অগ্রহায়ণের প্রথম সকাল ঢাবির চারুকলার বকুলতলা মুখর হয়ে উঠে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বাঁশি বাজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় নবান্ন উৎসবের আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা, চলবে রাত পর্যন্ত।
বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শহরের বুকে এক টুকরো গ্রামীণ নবান্নের স্বাদ দিতে প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলবে প্রথম ভাগের আনুষ্ঠানিকতা। এর পর দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় ভাগের পরিবেশনা। বিভিন্ন সংগঠন তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করছে। সময় সংবাদ