News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

অস্তিত্ব না থাকলেও সার্টিফিকেট বিক্রি, ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্কতা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-01-22, 10:23am

rtewrwer-0d64b33875d43b6f931244b546b5e5841737519788.jpg




একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধান পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ‘ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি’। তবে বাস্তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও ওয়েবসাইট খুলে দেদার সার্টিফিকেট বিক্রি করছে। ওয়েবসাইটে তারা নিজেদের অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে।

মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) ইউজিসির পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজমেন্ট শাখার পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবৈধ এমন কার্যক্রম ও ভুয়া তথ্যে প্রলুব্ধ না হতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক, চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতাদের সতর্ক করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ শাখার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইস্যুকৃত সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। সরকার অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পাওয়া না যাওয়ায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান রাজধানীর ইস্ট মেরুল বাড্ডা হওয়ায় এর কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য কমিশন দুই সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম গঠন করে। গত ২০ জানুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর পূর্ব মেরুল বাড্ডায় ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কোনো ক্যাম্পাসের অস্তিত্ব নেই। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকার, ইউজিসি, ফার্মেসি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে। বাস্তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত এ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ডোমাইনটি অতি দ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএলে চিঠি পাঠানোর সুপারিশ করেছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়টির নামে চালু থাকা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখা যায়, তারা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের একটি ছবি কভারে দিয়ে রেখেছে। তার নিচে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে। ৪০টি স্নাতক প্রোগ্রাম চালু এবং ১৫০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা থাকার দাবি করা হয়েছে ওয়েবসাইটে। তাছাড়া এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ হাজার গ্র্যাজুয়েট স্নাতক শেষ করেছে বলেও উল্লেখ রয়েছে। আরটিভি