News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলে দেওয়া হলো হলও

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-04-23, 7:09pm

dfewrwer-291f239567117f5cdf9d73a8cfde10c61745413769.jpg




খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি আবাসিক হল।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে উপাচার্যের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খোলার কথা ছিল। তবে আজ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হলগুলো বিকেলে খোলা হবে।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও দোষীদের পরিচয় থাকার পরও তারা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলস্বরূপ প্রকৃত অপরাধীদের একটি বড় অংশ শাস্তির আওতার বাইরে থেকে যায় আর অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থী অন্যায়ভাবে শাস্তির সম্মুখীন হন।

এ দিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অপরাধ সংঘটিত করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার আরও বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আইন মেনেই সবকিছু করার চেষ্টা করা হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসতে হবে।

ছাত্রদের বহিষ্কার আদেশ ও মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে।

এ সময় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২১ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।আরটিভি