সময়ের পরিক্রমায় অনেক বিষয়ই পরিস্থিতির সঙ্গে মিলে যায়, সেগুলোকে কাকতালীয় বলে গণ্য করাও যায় না। তবে বিশ্বমঞ্চে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়কের সন্ধান করতে হবে; ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই বিষয়টি চাউর হয়েছিল। কারণ, রশিদ-নবির বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই হুট করে আলোচনায় সহ-অধিনায়ক। গত প্রায় আড়াই বছরে তামিমের ডেপুটির প্রয়োজন বোধ না হলেও সিরিজ চলাকালে হঠাৎ করেই ঘোষণা এলো উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস এখন থেকে তামিমের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, টাইগারদের প্রশ্ন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে শুরু করে দলপতি তামিমকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার (তামিম) অবর্তমানে দলের নেতৃত্ব কে দেবেন! তখন উত্তর না মিললেও প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হারের আগেই তামিমের সহকারী পেয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবার ২২ গজকে স্থায়ীভাবে বিদায় বলেছেন মিস্টার খান। তাই বিসিবিকে দলবল নিয়েই নামতে হবে নতুন অধিনায়কের সন্ধানে।
তবে এবার সহ-অধিনায়ক কিংবা ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক না, বিশ্বকাপ বিবেচনায় রেখে স্থায়ী অধিনায়কই খুঁজতে হবে বিসিবিকে। তবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এ নিয়ে নানান প্রশ্ন; এমনটা কি না হলেই হতো না! আর তামিমের অবসরে বিকল্পই-বা কি, অধিনায়ক কে!
২০১৪ সালে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দায়িত্ব নেন মাশরাফী বিন মুর্তজা। এরপরই ক্রিকেটের এই সংস্করণে দলকে বদলে দেন ম্যাশ। নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফী সরে দাঁড়ানোর পর ২০২০ সালে দায়িত্বভার পেয়েছিলেন তামিম। তার অধীনে বেশ ছন্দেই ছিল সাকিব-শান্তরা। চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটারের ওপর আস্থা রেখেই ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে অজানা এক রহস্য রেখে বিদায় বলেছেন তামিম। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও জানিয়েছেন গুডবাই।
এদিকে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের এখনও দুই ম্যাচ বাকি। একদিন পরই দ্বিতীয় ম্যাচে রশিদ-নবিদের মোকাবিলা করবে শান্ত-লিটনরা। সময় বিশ্বকাপের আর মাত্র তিন মাস; এই কম সময়ের মধ্যেই নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে হবে।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আসছে। এই তালিকায় সবার ওপরে থাকছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার ২০১১ বিশ্বকাপেও লাল-সবুজের নেতৃত্বে ছিলেন। আর তাই অভিজ্ঞতা বিবেচনায় সাকিব এগিয়েই থাকছেন, এটা ভাবাই যায়। এক্ষেত্রে তিন ফরম্যাটেই সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে টাইগাররা।
আলোচনায় লিটন দাসের নামও। তামিমের অনুপস্থিতিতে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। টাইগারদের সেই সিরিজ জিতিয়েছেনও তিনি। ক্রিকেটের অন্য দুই ফরম্যাটেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
অধিনায়কের দৌড়ে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও তাদের জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু লম্বা সময় বিবেচনায় এই দুই ক্রিকেটারও এই সুযোগ পেতে পারেন। কারণ, ফর্ম বিবেচনায় তারাই হতে পারেন, জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। তবে শেষ পর্যন্ত কার কাঁধে উঠছে, টাইগারদের কাপ্তানের ভার; দ্রুতই মিলবে এর উত্তর। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।