চোখের চিকিৎসার জন্য দুপুরে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে সাকিব আল হাসান। এর আগে লন্ডনে চিকিৎসা করলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায়, এবার তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস আই সেন্টারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে সাকিবের। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে চোখের চিকিৎসায় কোন পথে যাবেন এই টাইগার অধিনায়ক। বিপিএলের প্রথম ম্যাচ খেললেও পরের তিন ম্যাচ মিস করবে বলে জানিয়েছে রংপুর রাইডার্সের সিইও ইশতিয়াক সাদেক।
এর আগে ভারত ও লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখালেও জানা গেছে, দুই জায়গার চিকিৎসকদের মতামতে মিল যেমন আছে, আছে কিছু ভিন্নতাও। তবে সমস্যা সম্পর্কে সাকিব যেটা বলেছেন, সব চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণও একই কথা বলছেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে তার চোখের রেটিনার নিচে একধরনের তরল পদার্থ জমছে, যেটা ঝাপসা করে দিচ্ছে দৃষ্টি।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের তত্ব অনুসারে চোখের এ ধরনের সমস্যা সেন্ট্রাল সেরস কোরিওরেটিনোপ্যাথি বা সিএসসি নামে পরিচিত। কারও চোখে এ ধরনের সমস্যা থাকলে সেটা যেকোনো সময়ই অনুভূত হতে পারে। তবে সাকিবকে এটি বেশি ভোগাচ্ছে ব্যাটিংয়ের সময়।
এ ধরনের সমস্যার চিকিৎসা হতে পারে ইনজেকশন, লেজার, ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এবং অনেক সময় লাগতে পারে অস্ত্রোপচারও। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বড় কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়। তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।
সাকিবের চোখের চিকিৎসার পরের ধাপ কি হবে এই বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, সাকিবের অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে আমরা তার চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।