গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই ব্যাট হাতে সেই ভাবে আলো ছড়াতে পারেননি লিটন কুমার দাস। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছেন এই টাইগার ওপেনার। যে কারণে তার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত লিটনের উপর ভরসা রেখেছেন নির্বাচকরা।
বিশ্বকাপ ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে বিসিবিকে এক সাক্ষাৎকার দেন লিটন। যেখানে তিনি নিজের খারাপ সময়ের বিভিন্ন মুহূর্তের কথা জানিয়েছেন।
লিটন বলেন, ভালো সময়ে পারফরম্যান্স ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এক ম্যাচ ভালো খেলবেন, মাথার ভেতর থাকতেই পারে আমি তো ভালো খেলছি। উদাসীনভাব চলে আসে। ভালো সময়েও যে মানুষটা পরিশ্রম করে যাচ্ছে, চিন্তা ধারা ভালো।
‘আমি যদি উদাহরণ দিই, তাহলে বলতে পারি তাওহীদ হৃদয়ের কথা। সে শেষ কিছু ম্যাচ ধরে খুবই ভালো করছে, ছন্দ ধরে রেখেছে। খারাপ সময়ে আপনার বাড়তি চিন্তার কিছু থাকে না। আপনি যখন বাজে ছন্দে থাকবেন, যত বেশি চিন্তা করবেন, আরও বেশি খারাপ হবে। ’
প্রতিটা মানুষকেই খারাপ সময়ে সব থেকে বেশি তার স্ত্রী সাপোর্ট দেয়। লিটনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। দুঃসময়ে স্ত্রীর পাশে থাকা নিয়ে তিনি বলেন, আমার অনেক মানুষ আছে, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দেয়। অনেক কোচ আছেন, যারা উৎসাহ দেন। এই সময়ে সাহস দেওয়াটা বড় জিনিস। সবচেয়ে কাছের মানুষ আমার স্ত্রী, আমাকে সাহস দেয়। এর থেকে বড় কিছু লাগে না।
খারাপ সময়ে শুধু অনুশীলনে মনোযোগ দিতে চান লিটন। নিজের পরিশ্রম নিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনার কাছে একটাই জিনিস থাকে, কতটা পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে। অনুশীলন কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময়ে যতটা ধীর-স্থির থাকা যায়, যত বাড়তি চিন্তা কম করা যায়। নিজের ক্রিকেটের ওপর মনোযোগ দেওয়া যায়।
বিশ্বকাপ নিয়ে লিটন বলেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে আমাদের টি-টোয়েন্টি দল অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা অনেক সিরিজও জিতেছি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমরা ভালো দলগুলোর সঙ্গেও জিতেছি, ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি।
‘বিশ্বকাপে আলাদা চাপ থাকবে। আমরা যদি খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি এবং ধীরস্থির থেকে থেকে যদি খেলা যায়। ভয়ডরহীন ক্রিকেট যদি খেলা যায়, কোনো কিছুর আউটকাম নিয়ে না ভেবে, তাহলে আমাদের খুবই ভালো সুযোগ আছে।’