News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

কোহলি ম্যাজিকে শিরোপা খরা কাটাল ভারত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-06-30, 5:29am

img_20240630_053023-d7dc9261e093c2f757da515e6a5d96301719703846.jpg




বিরাট কোহলির ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বড় লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে বার্বাডোজে উৎসবের মঞ্চ আগেই বানিয়ে রেখেছিল ভারত। ফাইনালের মঞ্চে ডি কক আর হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ও ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে শেষ পর্যন্ত ঘুচল না প্রোটিয়াদের চোকার্স তকমা। ভারতের কাছে ৭ রানে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার।

শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯ রানের বেশি নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক মঞ্চের শিরোপা জয়ের জন্য উড়ন্ত শুরুর দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি প্রোটিয়ারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রেজা হেনড্রিকসকে ফেরান বুহরাহ।

এরপর আর্শদ্বীপের শিকার বনে যান এইডেন মার্করাম। অফ-স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তার স্লোয়ারে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন মার্করাম।

এরপর ডি ককের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন ট্রিস্টান স্টাবস। আস্কিং রানরেটের চেয়ে অনেকটা কম হলেও দলকে ঠিকই কক্ষপথেই রেখেছিলেন এই জুটি। তাদের ব্যাটে ভর করে পাওয়ারপ্লেতে ৪২ রান তুলে প্রোটিয়ারা।

এরপর ইনিংসের নবম ওভারের পঞ্চম বলে অক্ষর প্যাটেলকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে ফুলটস মিস করেন স্টাবস। দলীয় ৭০ রানে ফেরার আগে ১ ছক্কা ও ৩ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।

এরপর ক্রমেই ভারতের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠছিলেন ডি কল-ক্লাসেন জুটি। এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দেন অর্শদীপ। ৩০ বলে ৩৯ রানে ডি কক থামান এই পেসার।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ক্লাসেন। এরপরই ছন্দপতন! পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে ২৭ বলে ৫২ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।

এই ব্যাটার ফেরার পরই হারের শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত মিলার ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে না পারায় ৭ রানের হার সঙ্গী হয় তাদের।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। প্রথম ওভারেই স্কোরশিটে ১৫ রান যোগ করেন তারা।

এরপর দ্বিতীয় ওভারে এসেই জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে জোড়া চার হাঁকিয়ে মহারাজকে স্বাগত জানিয়েছিলেন রোহিত। তবে মহারাজের চতুর্থ বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। এগিয়ে এসে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্লাসেনের মুঠোবন্দি হন তিনি।

দলপতির পথই অনুসরণ করেন ঋষভ পান্ত। রোহিতের মতই সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন। এতে ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ভারত।

এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেননি সূর্যকুমারও। রাবাদার লেংথ ডেলিভারিতে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে টাইমিং না হওয়ায় ডিপ স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন হেনরিখ ক্লাসেন। ফেরার আগে ৩ রান করেন তিনি।

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর কোহলি ও অক্ষরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আসরের অন্যতম ফেবারিটরা। তাদের অনবদ্য জুটিতে ১০০ পেরোয় ভারতের দলীয় স্কোর।

তবে কুইন্টন ডি ককের চমৎকার থ্রোতে দৃষ্টিকটুভাবে রান-আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অক্ষর। এতে ৩১ বলে ৪৭ রানে থামে তার ইনিংস।

এরপর ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ধরে রাখতে পান্ডিয়ার আগে বাঁ-হাতি দুবেকে পাঠায় ভারত। উইকেটে থিতু হয়ে কোহলির সঙ্গে রানের চাকা সচল রাখেন দুবে। ৪৮ বলে ফিফটির পর চড়াও হন কোহলিও। ৫৯ বলে ৭৬ রানে কোহলি ফিরলে ভাঙে তাদের দুর্দান্ত জুটি।

শেষ দিকে দুবের ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৭ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় রোহিত শর্মার দল।

প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন কেশব মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।