News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

আড়াইশ’র আগে অলআউট বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-09-30, 2:02pm

tyurtyurtytr-b14a3a9a898aa2be68b322ad8666df811727683352.jpg




বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরো দুই দিন একটি বলও না গড়ানোর ম্যাচে মেরেও খেলতে পারেনি, খেলতে পারেনি রয়েসয়েও। প্রথম দিন ১০৭ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী অলআউট হয়েছে ২৩৩ রানে। প্রপ্তি কেবল মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি।

টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দিন যথাসময়ে শুরু হয় কানপুর টেস্ট। প্রথম দিনের অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক ধীরস্থিরে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রথম দিন ৬ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। চতুর্থ দিন নামের পাশে ৫ রান যোগ করেই বিদায় নেন। জাসপ্রিত বুমরাহর ফিফথ স্টাম্পের বল ছেড়ে বোকা বনে যান তিনি। ভারতীয় পেসারের ছোড়া বলটি ইনসুইং করে চলে যায় স্টাম্পে, আঁচ পেয়ে দ্রুত পা সরিয়েও বাঁচতে পারেননি মুশফিক।

অন্যপ্রান্তে মুমিনুল হক রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন দ্রুতই। তাকে সঙ্গ দিতে নামেন লিটন কুমার। তবে তিনিও বেশিক্ষণ মুমিনুলের সঙ্গী হতে পারেননি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে সজোরে বল পেঠাতে গিয়ে রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়েন তিনি। লাফিয়ে উঠে এক হাতেই দারুণ ক্যাচ নেন ভারতীয় অধিনায়ক। রোহিত অসম্ভব রকম যে ক্যাচটি নিয়েছেন, তাতে লিটন নিজেকে অভাগা ভাবতেই পারেন, ১৩ রান করেন তিনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯ রান করা সাকিব।

এরপর মুমিনুল হকের সঙ্গে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্টে ভারতের মাটিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুমিনুল। অন্যদিকে জাসপ্রিত বুমরাহকে বেশ কয়েকটি চার মারেন মিরাজ। বুমরাহই তাকে শিকারে পরিণত করেন। আউটসাইড এজ করে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। ৪২ বলে তিনি করেন ২০ রান। তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ দ্রুত আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল। টেস্টে এটা তার ১৩তম সেঞ্চুরি। এ ইনিংস দিয়েই টেস্টে ৩০০ উইকেট পূর্ণ হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজার। বুমরাহ নেন ৩ উইকেট। আকাশ দীপ, অশ্বিন ও মোহাম্মদ সিরাজের শিকার ২টি করে।

বৃষ্টি বাগড়ার কারণে প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়। ওই দিন ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে বাংলাদেশ। জাকির হাসান আউট হন শূন্য রানে। সাদমান ইসলাম ২৪ ও নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩১। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ নাজুক ছিলেন জাকির হাসান। ২৪ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের নবম ওভারে আকাশ দীপের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন টাইগার ওপেনার। জাকিরের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে ৩ রান যুক্ত হতেই ফেরেন সাদমান ইসলাম। তাকেও ফেরান আকাশ দীপ। ৩৬ বলে ২৪ রান করে আউট হন সাদমান। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পরপর ৩১ রান করে অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন শান্ত।

বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই ভেস্তে যায়, একটি বল এদিন মাঠে গড়ায়নি। ড্রেসিংরুমে অপেক্ষা করেই সময় কাটে খেলোয়াড়দের। আশা করা হয়েছিল তৃতীয় দিন খেলা হবে। এদিন বৃষ্টিও ছিল না। ফলে সকাল থেকেই মাঠকর্মীরা ভেজা মাঠ শুকানোয় লেগে যান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়নি। তৃতীয় দিন সাড়ে ১০টায় একবার পিচ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। কিন্তু অবস্থা ভালো না হওয়ায় সাড়ে ১২টায় আবার সময় নির্ধারণ করা হয়। তখনও চিত্র বদলায়নি। শেষে আড়াইটায় শেষ বারের মতো পিচ পরিদর্শন শেষে তৃতীয় দিনের খেলা বাতিল করে দেয়া হয়।