News update
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     

ব্যর্থতার মালা গেঁথে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-10-10, 8:13am

img_20241010_081516-64006a30ab6f5dcd9e1f4a0ca7144f151728526530.jpg




ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশের পুরোনো রোগের নাম। সেটা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ভারতের মতো বিশ্ব সেরা দলের সামনে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিটি ম্যাচে। অনুশীলনে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানো ব্যাটাররা মূল ম্যাচে পারছেন না দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে। এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের পর ব্যর্থতার মালা গেঁথে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ৮৬ রানের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল ভারত। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও লিটন দাস। তবে, বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমন। আর্শদীপের করা প্রথম ওভারে ৩ চারে ১৪ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ওভারে এসেই উইকেট তুলে নেন এই পেসার। তার বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন পারভেজ হোসেন ইমন। ১২ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর দলীয় ৪০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক শান্ত। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৭ বলে করেন মাত্র ১১ রান। যদিও প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছিলেন তিনি।

ভারতের মতো পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন লিটন দাস। বরুণ চক্রবর্তীর নিচু বলে পুল শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১১ বলে ১৪ রান। এরপর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়। ওপেনার অভিষেক শর্মার বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৬ বল খেলে মাত্র ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে, একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে, সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। শেষমেশ ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

এর আগে, বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের শুরুটা হয় স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে। যদিও প্রথম ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। ১৫ রান তুলে শুরুতেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল ভারত। যদিও উড়ন্ত শুরু ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই উইকেট হারায় ভারত। তাসকিন আহমেদের করা বলে পাঞ্চ করতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সানজু স্যামসন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০ রান।

প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও সময় লাগেনি ভারতের। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আবারও উইকেট হারায় ভারত। এবার সাজঘরের পথ ধরেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার অভিষেক শর্মা। তানজিম সাকিবের ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে করা বলে মিড উইকেট দিয়ে স্লগ শট খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৫ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবার ফেরেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার ডেলিভারি মিড অফ দিয়ে খেলতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার করেন ১০ বলে ৮ রান। তখন ভারতের দলীয় সংগ্রহ মাত্র ৪১ রান। এরপর বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট রিঙ্কু সিংহকে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন নিতীশ রেড্ডি।

এই দুই ব্যাটার বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তা না দিয়ে গড়েন ৪৯ বলে ১০৮ রানের বিশাল জুটি। মূলত এই জুটিতেই রানের পাহাড় গড়ে ভারত। মাত্র ২৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন নিতীশ। ২১৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই ব্যাটার। অবশ্য তার বিদায়েও রানের চাকা থেমে থাকেনি ভারতের। রিয়ান পরাগ ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে শেষদিকে ব্যাট হাতে ফের একবার ঝড় তোলেন। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

ভারত: ২০ ওভারে ২২১/৯ (স্যামসন ১০, অভিষেক ১৫, সূর্যকুমার ৮, নিতীশ ৭৪, রিঙ্কু ৫৩, পান্ডিয়া ৩২, পরাগ ১৫, সুন্দর ০*, ভারুণ ০, আর্শদীপ ৬, মায়াঙ্ক ১; মিরাজ ৩-০-৪৬-০, তাসকিন ৪-০-১৬-২, তানজিম ৪-০-৫০-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৬-২, রিশাদ ৪-০-৫৫-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৫-০)

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৯ (পারভেজ ১৬, লিটন ১৪, শান্ত ১১, হৃদয় ২, মিরাজ ১৬, মাহমুদউল্লাহ ৪১, জাকের ১, রিশাদ ৯, তানজিম ৮, তাসকিন ৫, মুস্তাফিজ ১; আর্শদীপ ৩-০-২৬-১, নিতীশ ৪-০-২৩-২, সুন্দর ১-০-৪-১, ভারুণ ৪-০-১৯-২, অভিষেক ২-০-১০-১, মায়াঙ্ক ৪-০-৩০-১, পরাগ ২-০-১৬-১)

ফল : ভারত ৮৬ রানে জয়ী

সিরিজ : ভারত ২-০ ব্যবধানে জয়ী। এনটিভি নিউজ।