News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

ভারতকে গুঁড়িয়ে যুব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-12-08, 6:13pm

bd-c419b06b4c6579b50ff05adb3b8424f11733660019.jpg




বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি- যাই হোক না কেন। মাঠে ও মাঠের বাইরে উত্তাপ ছড়াবেই। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে মেগা ফাইনাল ঘিরে রোমাঞ্চ একটু বেশিই ছিল। শিরোপা নির্ধারণী সেই ম্যাচে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) মেগা ফাইনালে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯৮ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৫.১ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয় ভারত। ৫৯ রানের জয়ে শিরোপা ধরে রাখল নাভিদ নেওয়াজ শিষ্যরা। গত এশিয়া কাপেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে।

১৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। মাত্র ৪ রানের মাথায় দলটির হারায় ওপেনার আয়ুশ মহাত্রের উইকেট। ফাহাদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৮ বলে মাত্র ১ রান। এরপর ক্রিজে আসলেও থিতু হতে পারেননি আরেক ব্যাটার বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আইপিএলে দল পাওয়া এই ক্রিকেটার ৭ বলে করেন মাত্র ৯ রান।

এরপর সিদ্ধার্থ ও কার্তিকেয়া কেপি মিলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ৩৫ বলে ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন সিদ্ধার্থ। তার বিদায়ে বড়সড় ধাক্কা খায় ভারত। অবশ্য, অধিনায়ক মোহাম্মদ আমানকে নিয়ে চাপ সামাল দেন কার্তিকেয়া। অবশ্য মাত্র এক ওভারেই ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন ইকবাল। তুলে নেন দুই উইকেট। এরপর লেজের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটি দাঁড় করাতে পারেননি কালাম সিদ্দিকি ও জাওয়াদ আকবর। মাত্র এক রান করে যুধাজিৎ গুহর বলে বোল্ড হন কালাম। ১৭ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। অপর ওপেনার জাওয়াদ ২০ রান করে বিদায় নেন চেতন শর্মার বলে হারভানশ পাঙ্গালিয়ার তালুবন্দি হয়ে। দলীয় ৬৬ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিমও। ১৬ রান করা হাকিমকে সাজঘরে ফেরান কিরণ কর্মালি।

চতুর্থ উইকেটে শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন মিলে ইনিংস মেরামতে নজর দেন। এই দুজন স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৬২ রান। ৪০ রান করে আয়ুষ মাত্রের শিকার হন জেমস। ভেঙে যায় জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রিজান অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে চেষ্টা করেন রানের চাকা সচল করার জন্য। ৬৫ বলে ৪৭ রান আসে রিজানের ব্যাট থেকে। হার্দিক রাজের বলে বোল্ড না হলে দলকে আরও এগিয়ে নিতে পারতেন রিজান।

শেষ দিকে ফরিদ হাসানের ৪৯ বলে ৩৯ রানে বাংলাদেশ ২০০ রানের কাছাকাছি যেতে পেরেছে। নবম ব্যাটার হিসেবে ফরিদকে লেগ বিফোর করেন চেতন শর্মা। ফরিদ আউট হওয়ার পর আর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন যুধাজিৎ, চেতন ও হার্দিক। সময় সংবাদ।