News update
  • BUET team awarded for early breast cancer screening system     |     
  • Greater worker-owner bonhomie needed to speed up dev: Yunus     |     
  • Dhaka’s Rickshaws: The untold mystery of their numbers     |     
  • Historic May Day today - Thursday     |     
  • 248 arrested, illegal nets seized in 6-day drive: River Police     |     

বাংলাদেশকে হেসেখেলে হারিয়ে সিরিজ উইন্ডিজের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-12-11, 7:41am

ban_vs_win-5593ac6a5573c39344da7b716871daea1733881276.jpg




টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে যাই হোক, অন্তত ৫০ ওভারের খেলায় ভালো কিছুই করবে বাংলাদেশ। ভক্তদের এমন প্রত্যাশা যেন সময়ের সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও ছন্দে নেই বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর এবার সিরিজ হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসে আগে ব্যাট করে ৪৫.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে, ৩৬.৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। দলটির হয়ে ব্যাট হতে সবচেয়ে বেশি ৮২ রান করেন ব্রেন্ডন কিং।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার। শরীফুল ইসলামের প্রথম ওভারেই দুটি চার মারেন ব্রেন্ডন কিং। পরের ওভারে তানজিম সাকিবের বলে একটি। প্রথম দুই ওভারে ১৬ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখনই ধারণা করা গিয়েছিল, রান তাড়ায় খুব বেশি সময় নিতে নারাজ স্বাগতিকরা।

বাস্তবে তেমনটাই দেখা মিলল। বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তা না দিয়ে দুই ওপেনার গড়েন ১০৯ রানের দারুণ জুটি। এই জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ক্যারিবীয়রা। অবশেষে ইনিংসের ২১তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেনের বলে তারই হাতে ক্যাচ দেন এভিন লুইস। আউটের আগে করেন ৬২ বলে ৪৯ রান।

শতাধিক রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ছন্দপতন ঘটেনি উইন্ডিজের। ক্রিজে আসা কার্টিকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন কিং। দুজন গড়েন ৭৬ রানের জুটি। দলীয় ১৭৫ রানের সময় ফেরেন কিং। আউটের আগে খেলেন ৭৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস। এরপর বাকি ব্যাটারদের কল্যাণে জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

এর আগে, টস জেতার পর অধিনায়ক মিরাজ বলেছিলেন প্রথম ওয়ানডের উইকেটে খেলা হওয়ায় এই ম্যাচেও ব্যাটাররা ভালো করবে। যদি বাস্তবে তেমনটা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচেও রানের দেখা পেলেন না ওপেনাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রান তোলে বাংলাদেশ। সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি সৌম্য সরকার।

মিন্ডলের করা তৃতীয় ওভারে ২টি ছক্কা ও ১ চারে মোট ১৮ রান নেন তানজিদ। কিন্তু সিলসের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই মিড অনে ক্যাচ দিয়ে আউট সৌম্য। ৫ বলে মাত্র ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসলেও ছন্দে ফিরতে পারেননি লিটন দাস।

রান বের করতে না পারায় ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। দলীয় ৪১ রানের মাথায় একটি বাউন্সার পেয়েই পুল করতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে পাননি। বল ব্যাটের মাথায় লেগে ক্যাচ গেল ব্যাকওয়ার্ড পেয়েন্টে এভিন লুইসের হাতে। ১৯ বলে মাত্র ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। লিটনে এমন ছন্দহীনতা বেশ ভোগাচ্ছে দলকে।

লিটনের বিদায়ের পর অধিনায়ক মিরাজ আসেন ক্রিজে। তবে, গত ম্যাচে দারুণ করলেও এই ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি মিরাজ। লিটনের মতো অতটা অদ্ভুত আউট নয়, তবে মিরাজের আউটও অবাক করার মতোই ছিল। সিলসের করা বল তার ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পের বেলস ফেলেছে। বোল্ড! ৫ বলে মাত্র ১ রানে ফেরেন তিনি।

এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর কিছুটা দায়িত্ব নেন ওপেনার তানজিদ তামিম। তবে, আরও একবার ভালো শুরুটা বড় করতে পারলেন না তিনি। প্রথম ওয়ানডের মতো একই জায়গায় একই শটে একই ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়লেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৩৩ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে তানজিদের রান ৪৬। যার ফলে মাত্র ১১ ওভারের মাথায় চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব‍্যাটার মাহমুদউল্লাহ ও তরুণ আফিফ হোসেন। তাদের জুটিও বড় হয়নি। দলীয় ১০০ রানের মাথায় আফিফ বিদায় নিলে বড় স্কোরের আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষমেশ লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ।

আর সবাইকে অবাক করে রিয়াদকে যোগ্য সঙ্গ দেন পেসার তানজিম সাকিব। গড়ে তোলেন ৯২ রানের দারুণ জুটি। দলীয় ২০৭ রানের মাথায় ৬২ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তানজিদ। এর আগেই অবশ্য ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ।  ৯২ বলে ৬২ করে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষদিকে শরিফুল-নাহিদদের ব্যাটে ২২৭ রানে থামে বাংলাদেশ। এনটিভি।