
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার রিশাদ হোসেন। প্রতিকূল কন্ডিশনেও দুই ম্যাচেই ২০০’র ওপর স্ট্রাইকরেটে গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ১৪ বলে ৩৯ রান করে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিংয়ের রেকর্ডও গড়েছেন। অথচ সেই ব্যাটারকেই পাঠানো হলো না সুপার ওভারে!
সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রিকেটভক্ত, সকলেই অবাক হয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত দেখে। শুধু তাই নয়, অবাক হয়েছেন প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররাও। সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটাই জানিয়ে গেলেন উইন্ডিজ স্পিনার আকিল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক অবাক হয়েছি। ম্যাচে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে যেই খেলোয়াড়, ১৪ বলে ৩৯ রান করেছে, সে-ই সুপার ওভারে নেই। সে লম্বা খেলোয়াড়, বল পর্যন্ত ভালোভাবে পৌঁছাতে পারে এবং শক্তিও ভালো; শর্ট সাইডে সে যেভাবে দুটো ছক্কা মেরেছ, আমরা সবাই খুব অবাক হয়েছি যে তাকে কেন সুপার ওভারে পাঠানো হয়নি। এই সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে এসেছে।’
প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে ছিলেন না আকিল হোসেন। মূলত ওয়ানডে স্কোয়াডেই ছিলেন না তিনি। শামার জোসেফ ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ায় হুট করে উড়িয়ে আনা হয় তাকে। গতকাল রাত চারটায় ঢাকায় এসে পৌঁছান তিনি। সেই ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে খেলেই আজ করেছেন ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার শরীরে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। হোটেলে উঠেছি রাত চারটায়। সেখান থেকে ম্যাচে। তবে এটা আমার চাকরির অংশ। যখন আমি প্রতিজ্ঞা করেছি (খেলার), সেক্ষেত্রে আমার সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে এবং শতভাগ দিতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে বাসায় বসে খেলা দেখেছেন আকিল। বাড়িতে বসে গত ম্যাচের পিচ কেমন দেখলেন, এই অভিজ্ঞতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আকিল বলেন, ‘আমি টিভি অন করেছিলাম খেলা দেখতে (প্রথম ম্যাচের খেলা দেখার জন্য)। আমার কাছে মনে হয়েছিল টিভির কালারে কোনো সমস্যা হয়েছে (হাসি)। পরে বুঝতে পেরেছি পিচই কালো। টিভি ঠিকই আছে।’
এদিকে, মিরপুরে আজ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়িয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের ছোঁড়া ২১৩ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজও থামে ২১৩তে। সুপার ওভারে উইন্ডিজের দেয়া ১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বল হাতে সুপার ওভারে দলকে জিতিয়েছেন আকিল হোসেন।