News update
  • Bangladesh’s Finance Sector Stabilises, Challenges Remain     |     
  • Govt Proposes Up to Tk1cr for Milestone Crash Victims     |     
  • Hadi Killing: Inqilab Mancha Sets 24-Day Justice Ultimatum     |     
  • Alliances Race to Settle Seat Deals as Nomination Deadline Ends     |     
  • Bangladesh Bank Buys $115 Million to Support Forex Market     |     

সৌম্য-মেহেদির লড়াইয়ে খুলনার জয়, বরিশালের নায়ক তানভীর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-11-12, 8:03am

khelaa-70d15d78d85df3e891096eaa5d0e44c01762913028.jpg




শেখ মেহেদির কাজটা মূলত বলহাতেই বেশি। তবে ব্যাটহাতেও যে দায়িত্ব নিতে পারেন, জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে সেটি প্রমাণ করলেন তিনি। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে খুলনাকে জয় এনে দিলেন মেহেদি। বরিশালের হয়ে বলহাতে দুর্দান্ত বোলিং করে বরিশালের নায়ক তানভীর ইসলাম।  

সৌম্য-মেহেদির লড়াইয়ে খুলনার জয়

লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। তার মধ্যে আগের দিনই অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে রেখেছিল খুলনা। কিন্তু শেষ দিনে এসে বেশ ভালোই ভুগতে হলো তাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে খুলনা, তবে মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম।

স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৩৭ রানের লক্ষ্য ছিলো খুলনার জন্য। আগের দিন কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫২ রান তুলে ফেলেছিল খুলনা। এরপর ৯৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় খুলনা।

সেখান থেকে উদ্ধার করতে ব্যাটহাতে দায়িত্ব নেন শেখ মেহেদি। ৫০ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙড় করেই মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন মেহেদী। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় খুলনা। চট্টগ্রামের অফ স্পিনার নাঈম হাসান পেয়েছেন ৫ উইকেট।

এর আগে শুরুটা করে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। এর আগে প্রথম ইনিংসেও ৯২ রান করেছিলেন তিনি। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠেছে তার হাতে।

বরিশালের জয়ের নায়ক তানভীর

এবারের এনসিএলে প্রথমবার বরিশালের কাপ্তানের দায়িত্ব পেয়েছেন তানভীর ইসলাম। সেই দায়িত্ব পেয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয় এনে দিলেন তিনি। নিজের অধিনায়কত্বে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলেন তানভীর। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরাও তিনি।

২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজশাহী থেমে যায় ১৯১ রানেই। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন অধিনায়ক সাব্বির হোসেন ও রহিম আহমেদ। বরিশাল জয় পায় ৫৪ রানের। এই ইনিংসে বলহাতে চার উইকেট শিকার করেন তানভীর। আর প্রথম ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট।

দিশান যখন দিশারী

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হারের শঙ্কাই চেপে বসেছিল সিলেটের ওপর। ১২৭ রানের লিড নিতেই হারিয়েছিল ৫ উইকেট। তখনই দলের দিশারী হয়ে আসেন মুবিন আহমেদ দিশান। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সিলেটকে বিপদমুক্ত করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০ চার ও ১ ছক্কায় ২৬২ বলে ১৪১ রান করে থামেন দিশান।

দিনের সেঞ্চুরিতে রংপুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৯ রানের। তবে ততক্ষণে শেষ দিনের খেলা বাকি ছিলো প্রায় ৪৮ ওভারের মতো। এ ম্যাচে ওয়ানডে স্টাইলে খেললে হয়তো জয় তাড়া করা যেতো। তবে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি রংপুর। ৪১ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে ড্র মেনে নেয় দুই দল।

ঢাকা-ময়মনসিংহ ম্যাচ ড্র

কক্সবাজারে দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষ হতেই এসে যায় শেষ দিনের চা বিরতি। ম্যাচ তাই নিশ্চিত ড্রয়ের পথেই ছিল। হয়েছেও সেটিই। শেষদিনের চা বিরতির আগে ঢাকা বিভাগ থামে ৩৮৮ রানে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৭ রান তুলে ময়মনসিংহ। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল।