
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটির গুরুত্ব ছিল একাধিক জায়গায়। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। আগামী বছল ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটিই শেষ ম্যাচ। তার ওপর সিরিজ জয়ের চাপ। জিতলে সিরিজ নিজেদের, হারলে হাতছাড়া। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হার মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারত।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অবশ্য সেটি হতে দেননি। বরং, দাপটের সঙ্গেই হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১১৭ রানে। জবাবে ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১১৯ রান করে বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ রান। ১৪ বলে ১৯ রান করে ক্রেইগ ইয়ংয়ের শিকার হন সাইফ হাসান। ৬ বলে ৭ করে হ্যারি টেক্টরের বলে আউট হন অধিনায়ক লিটন। এরপর আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নোঙর করায়।
৩৬ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ২৬ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান করেন ইমন।
ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে আয়ারল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টর। ৪ ওভারে ৩৮ রান তোলে আইরিশরা। রানে ছেদ ফেলেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসারের ডেলিভারিতে বোল্ড হন টেক্টর, তার ব্যাট থেকে ১০ বলে আসে ১৭ রান। ওয়ানডাউনে নামা হ্যারি টেক্টরকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৬ বলে ৫ রান তুলে বিদায় নেন হ্যারি।
৫০ রানে আয়ারল্যান্ড হারায় দ্বিতীয় উইকেট। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আঘাত হানেন শেখ মেহেদী। ১ রান করা লোরকান টাকারকে ফেলেন লেগবিফোরের ফাঁদে। ৫১ রানে ঘটে তৃতীয় উইকেটের পতন।
এরপর আর সেভাবে কোনো আইরিশ ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। রিশাদ হোসেনের বলে সাইফ হাসানের ক্যাচে পরিণত হওয়া আইরিশ দলপতি স্টার্লিংয়ের ২৭ বলে ৩৮ রানই সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে জর্জ ডকরেলের ব্যাট থেকে। ডকরেল পরিণত হন শরিফুলের শিকারে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। মুস্তাফিজ ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩টি শিকার মুস্তাফিজের। ৩ ওভারে ২১ রানে শরিফুন পান ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড : ১৯.৫ ওভারে ১১৭/১০ (স্টার্লিং ৩৮, টেক্টর ১৭, হ্যারি ৫, টাকার ১, ক্যাম্ফার ৯, ডকরেল ১৯, ডিলানি ১০, আডাইর ৮, হামফ্রিস ১, ইয়ং ২*, হোয়াইট ৫; মেহেদী ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৩-০-২১-২, সাইফউদ্দিন ৩.৫-০৩১-১, মুস্তাফিজ ৩-০-১১-৩, রিশাদ ৪-০-২১-৩, সাইফ ২-০-৮-০)
বাংলাদেশ : ১৩.৪ ওভারে ১১৯/২ (সাইফ ১৯, তামিম ৫৫*, লিটন ৭, ইমন ৩৩*; হামফ্রিস ২-০-১৫-০, আডাইর ১-০-১১-০, ইয়ং ২.৪-০-৩০-০১, ডিলানি ২-০-২৫-০, হ্যারি টেক্টর ৩-০-১৭-১, হোয়াইট ৩-০-২১-০)
ফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী।