News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

অ্যাশেজ নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-12-21, 2:53pm

gertrtre-4da8e008e5560870385b6aa3a20ffdfe1766307188.jpg




উইল জ্যাকসই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গলার কাঁটা। মিচেল স্টার্ক সেই কাঁটাটি নামিয়ে ফেলতেই অ্যাডিলেড টেস্টের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়নি? ৪৩৫ রান তাড়ায় অষ্টম ব্যাটার হিসেবে দলীয় ৩৩৭ রানে আউট হয়েছিলেন জ্যাকস, পরের দুটি উইকেট অস্ট্রেলিয়া তুলে নেয় ১৫ রানের মধ্যে।

অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮২ রানে। ফলে দুই ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত হলো অ্যাশেজ সিরিজও। ইংল্যান্ডের ছাই দানা অধরা থাকার সময় আরও দীর্ঘায়িত হলো। শেষবার তারা অ্যাশেজ জিতেছিল ২০১৫ সালে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১১ সালে।

ইংল্যান্ড এই সিরিজটা অত্যন্ত বাজেভাবে হারল কি না! অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের অ্যাশেজ জেতার মিশনটা শুরু হয়েছিল সাড়ে তিন বছরেরও বেশি আগে, ব্রেন্ডন ম্যাককলামকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। বেন স্টোকসদের এই দলটাকেও ভাবা হচ্ছিল নিকট অতীতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দল, খেলছিল বাজবল স্টাইলে। পার্থে তারা হেরে যায় ২ দিনের মধ্যে, ব্রিসবেনে ৪ দিনে। ওই দুটি হারই ৮ উইকেটে।

লক্ষ্য দেয়া অস্ট্রেলিয়ার জন্য জেমি স্মিথ ও জ্যাকস জুটির পর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রাইডান কার্স-জ্যাকস জুটি। শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে স্মিথ ও জ্যাকস চতুর্থ দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ২ ও ১১ রানে। ৪ উইকেট হাতে রেখে তাদের সামনে ছিল আরও ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জ নাথান লায়ন।

চতুর্থ দিনই বলে টার্ন উঠছিল। তাই লায়নই ছিলেন ইংল্যান্ডের জন্য বড় হুমকি। চতুর্থ দিন তিনি পেয়েছিলেন ৩ উইকেটের দেখা। লায়ন হয়তো ফাইফারের আশা করছিলেন। কিন্তু বিধি বাম! ৭৭তম ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর খবর আসে, লায়ন এই ম্যাচ থেকেই ছিটকে গেছেন। ইংল্যান্ডের আশা কি তখন একটু বাড়েনি? বেড়েছিল হয়তো। কিন্তু স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সামনে সেটা ধোপে টেকেনি। ৬০ রান করে অস্ট্রেলিয়ার জন্য বিপদজনক হয়ে উঠা স্মিথকে মিচেল স্টার্ক প্যাট কামিন্সের ক্যাচে পরিণত করেন। পরের দুটি উইকেটও তার।

স্মিথের বিদায়ের পর আরও শক্ত ভিত গাড়েন জ্যাকস। রান তুলে নিচ্ছিলেন কার্স। ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ নেমে আসে একশর নিচে। জ্যাকস ব্যক্তিগত ৪৭ রানের সময় স্টার্কের অফসাইডের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে নেন। এক হাতে সেই ক্যাচ ধরেন মার্নাস লাবুশেন। ৯৭ রানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের ম্যাচ সেখানেই শেষ।

জফরা আর্চার টিকতে পারেন মাত্র ১৪ বল, টাং ৩। ব্রাইডান কার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন। ৬৪ বলে ৪ চার ও এক ছয়ে ৩৯ রান করেন তিনি। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের শিকার ৩ করে।

আলেক্স ক্যারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩৭১ রান। এরপর ইংল্যান্ডকে ২৮৬ রানে অলআউট করে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৯ রান করে ইংল্যান্ডকে ৪৩৫ রানের টার্গেট দেয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন ট্রাভিস হেড।