প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। তার সিটি সতীর্থ ফিল ফোডেন টানা দ্বিতীয়বারের মত বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
ডি ব্রুইনা এর আগে ২০১৯-২০ মৌসুমেও বর্ষসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন। এবারের মৌসুমে ক্যারিয়ার সেরা ১৫ গোল ও ১৩টি এসিস্টই তাকে আবারো সেরার মর্যাদা এনে দিয়েছে। এই তালিকায় তিনি পিছনে ফেলেছেন সিটি সতীর্থ হুয়াও ক্যান্সেলো, লিভারপুলের দুই তারকা ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড ও মোহাম্মদ সালাহ, ওয়েস্ট হ্যামের জ্যারড বোয়েন, আর্সেনালের বুকায়ো সাকা, সাউদাম্পটনের জেমস ওয়ার্ড-প্রাইস ও টটেনহ্যামের সন হেয়াং-মিনকে।
পুরস্কার জয়ের পর বেলজিয়ান তারকা ডি ব্রুইনা বলেছেন, ‘দ্বিতীয়বারের মত এই পুরস্কার জিততে পেরে আমি সত্যিই দারুন গর্বিত। প্রিমিয়ার লিগে অনেক মান সম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। নিজ নিজ সেসব খেলোয়াড়রা প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে প্রমান করে চলেছে। তারকাদেও ভিড়ে আমার এই অর্জন সত্যিই বিশেষ কিছু।’
থিয়েরি অঁরি, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও নেমাঞ্জা ভিদিচের পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়বার প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করলেন ডি ব্রুইনা।
এদিকে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ফোডেন এবার ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৯ গোল ও ৫ এসিস্টে ফোডেন সিটিকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন। ২১ বছর বয়সী ফোডেন গত মৌসুমে গোল ও এসিস্ট মিলিয়ে এ মৌসুমের সংখ্যাকে স্পর্শ করেছেন। ফোডেন বলেন, ‘টানা দ্বিতীয়বারের মত এই পুরস্কার জয় করতে পেরে আমি দারুন গর্বিত। এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে বেশ কিছু প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। সে কারনেই তাদেরকে টপকে এই পুরস্কার জয় করাটা সত্যিই সম্মানের। এবারের লিগের আমি পারফরমেন্স নিয়ে সত্যিই সন্তুষ্ট। আরো একটি সফল মৌসুম কাটানোর পিছনে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পেরেছি।’
বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড়ের তালিকায় ফোডেন পিছনে ফেরেছেন আলেক্সান্দার-আর্নল্ড, চেলসির ম্যাসন মাউন্ট, ওয়েস্ট হ্যামের ডিক্লান রাইস, আর্সেনালের সাকা ও এ্যারন রামসডেল এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের কনর গালাঘার ও টাইরিক মিচেল। তথ্য সূত্র বাসস।