News update
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়ার পানি বৃদ্ধি: নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খবর 2022-06-19, 1:41pm

image-46819-1655610147-1d63cd0d15517bc99249eaa98b0483991655624476.jpg




দেশের বিভিন্ন স্থানের নদীর পানি বৃদ্ধি এবং বৃষ্টির প্রভাবে জেলার পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। 

সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পদ্মা মেঘনা ও ডাকাতিয়া মিলনস্থল নদীর শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এখন যে স্থান দিয়ে নৌপথে লঞ্চ চলাচল করে সে নদীপথ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। সতর্কতার সাথে নৌযানগুলো চলাচল করতে বিআইডব্লিউ টিআইয়ের পক্ষ থেকে সর্তক করা হয়েছে। এদিকে পানি বাড়ার সাথে-সাথে শহর রক্ষা বাঁধের পাশের  প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র পুরান বাজার এলাকায় অনেক স্থানে ব্লক হঠাৎ-হঠাৎ দেবে যাচ্ছে। 

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা গোপাল সাহা জানান, গতকাল পুরান বাজারে প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্রের বাঁধ এলাকার মন্দিরের সামনের স্থানের অনেকাংশে ব্লক ঢেবে গেছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তা আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করলে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা এসে সংস্কারমূলক কাজ শুরু করে দিয়েছেন। 

শনিবার রাতে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাসসকে জানান, বাঁধের পুরান বাজারের ব্লক ঢেবে যাওয়া ঘটনাস্থল ও নতুন বাজারের মোলহেড ও টিলাবাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, স্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা বাঁধের নতুন বাজার ও পুরান বাজার এলাকা ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি। খবর শুনে আমরা এসে এখন স্থানটি চিহ্নিত করে সার্ভে শুরু করেছি ও বালিভর্তি জিইও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি ব্লক ডাম্পিং এর কাজও চলছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩ হাজার বালি ভর্তি বস্তা, ১৩ হাজার সিসি ব্লক আমাদের মজুদ রাখা আছে। 

এদিকে, চাঁদপুর-ঢাকা ও বরিশাল-চাঁদপুর-ঢাকা যাত্রীবাহী লঞ্চসহ বিভিন্ন রুটের নৌযানগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সাথে চলাচল করছে। মেঘনা ও পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে সাথে স্রোতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে জোয়ারে পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে চাঁদপুরের সকল মৎস্য চাষীদের বন্যার আগাম সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। 

সদর উপজেলার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মৎস্য চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বন্যার পানিতে পুকুর প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই নেট দিয়ে ঘিরে রাখার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। দেশের অন্যান্য জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবস্থার আলোকে আমাদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তথ্য সূত্র বাসস।