News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-10-06, 8:34pm




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী দিক বিবেচনা করে, কোন ঝুঁকির মধ্যে নেই। আমি আপনাদের সকলকে নিশ্চিত করতে পারি যে উদ্বেগের কিছু নেই।’

যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফর সম্পর্কে আজ বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।

সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের যে কোনো ধরনের দুর্ভোগ কমাতে তারা বিষয়টিতে মনোযোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘চিন্তার কোনো বিষয় নেই। আমরা সবাই যদি মনে করি এটা আমাদের দেশ এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যেভাবে স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে পরিচালনা করছে সেখানে কোন ‘রিস্ক’ নেই। তাছাড়া, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়েই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কেননা ’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় মাত্র ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন বিদ্যুৎ ছিল ১৩শ’ মেগাওয়াট, খাদ্য ঘাটতি ছিল ৪০ লাখ মেট্রিক টন। আর সাক্ষ্যরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ।

তিনি বলেন, ‘যেকোন কোন ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কোন রিস্ক নেই, এটুকু আমি কথা দিতে পারি।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশের কাছে গ্যাস বিক্রীর মুচলেখা না দেওয়ায় দেশি-বেদেশি ষড়যন্ত্রে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি সত্য কিন্তু তা করলে আজকে কিছুটা লোড শেডিং দিয়েও বিদ্যুৎ সঞ্চালনা যেভাবে অব্যাহত রাখতে পারছেন তা সম্ভব হোত না, দেশ অন্ধকারেই নিমজ্জিত হোত।

তিনি বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির যে টার্গেট আমরা নির্দিষ্ট করেছি। তা আমরা অর্জন করতে সমর্থ হব সে বিষয়টি আমি সবাইকেই আশস্থ করতে চাই। এরপর যদি কোন মহাদুর্যোগ দেখা দেয় তাহলেতো সারা বিশ্বেই সমস্যা হবে, তা নিয়েতো বেশি কিছু বলার নেই। তবে, আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী আছে এটুকু আশ্বাস আমি দিতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেটের দিক থেকেও কোন সমস্যা নেই আর যেসব প্রকল্প দ্রুত শেষ করলে রিটার্ন পাওয়া যায় সে ধরনের প্রকল্পগুলোই আগে বাস্তবায়ন করছি। আর প্রকল্প গ্রহণের সময় যেসব প্রকল্প দেশের জন্য লাভজনক হবে সে ধরনের প্রকল্পই আমরা নিচ্ছি। তাঁর সরকার বেসরকারি খাকে উন্মুক্ত করেছে, সেখানেও বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এবং জনগণকেও তিনি সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

এ সময় দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা-মিডিয়ার ঢালাও সমালোচনার বিরুদ্ধে তিনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা যতই ভাল করি তাদের চোখে কোনদিন ভাল লাগে না, তারা যেন এক ধরনের পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। তবে, আমাদের কাজে জনগণ কতটুকু লাভবান হল আমরা সেদিকেই বিশেষ ভাবে দৃষ্টি দেই।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহাসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৮ দিনের  রাষ্ট্রীয় সফর শেষ ৪ অক্টোবর দেশে ফেরেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন।  তথ্য সূত্র বাসস।