News update
  • Dhaka’s air recorded ‘unhealthy’ Monday morning     |     
  • CA Urges IFAD to Launch Social Business Fund for Agri Youth     |     
  • OIC Condoles the Passing of Members of the Amiri Diwan     |     
  • Bangladesh’s stock market tumbles at week’s start     |     
  • Police disperse teachers' rally in front of National Press Club      |     

‘ব্যাংকে টাকা আছে, গুজবে কান দেবেন না’ – শেখ হাসিনা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-12-05, 9:09am




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বলেছেন ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই বলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে। এ জন্য তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দায়ী করেন। “গুজব ছড়িয়ে ছড়িয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আপনার দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। ওরা মিথ্যা কথা বলে, এটা ওদের অভ্যাস। গুজবটা সত্য কি না সেটা দেখবেন,” বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন ব্যাংকে টাকার কোন সংকট নেই। যারা ব্যাংকে টাকা তুলতে যাচ্ছে তাদের সবাই টাকা তুলতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে না রাখার জন্য সতর্ক করে দেন শেখ হাসিনা। “টাকা তুলে এনে ঘরে রাখবেন, বালিশের নিচে তোষকের নিচে রাখবেন, না হয় আলমারিতে রাখবেন। তখন সে টাকা তো চোরেও নিয়ে যেতে পারে।” চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে শেখ হাসিনা প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তার সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি ছিল বিরোধী বিএনপির সমালোচনা।

শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এই সমাবেশ এমন এক সময়ে করলেন যখন আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। সমাবেশ করার জন্য বিএনপি ১০ই ডিসেম্বর তারিখটি কেন বেছে নিয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, “১০ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিল। .... অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হয় সে ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির প্রিয় একটা তারিখ।” “বোধ হয় হানাদার বাহিনীর পদ-লেহনকারী দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি ঢাকা শহর দখল করবে আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছে। বিএনপি বলছে তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না। চট্টগ্রাম সমাবেশে শেখ হাসিনা পাল্টা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।

দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পরে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করার জন্য গত এক সপ্তাহ যাবত চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক মাইকিং হয়েছে। এছাড়া পুরো শহর পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলো থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শত শত বাস এবং অন্যান্য বাহনে করে চট্টগ্রাম শহরে আসে। এই সমাবেশ যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেজন্য রবিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল সীমিত করে দেয় পুলিশ। এজন্য আগে ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। সমাবেশ যাতে ঠিকমতো সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসন এবং পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। এই পোলোগ্রাউন্ড মাঠে দুইমাস আগে সমাবেশ করেছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন বিএনপির তুলনায় তাদের সমাবেশে লোকসমাগম বেশি হয়েছে। এসব সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে বুঝিয়ে দিতে চায় যে তারাও রাজপথে সক্রিয় আছে। তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।