News update
  • OIC Condoles the Passing of Members of the Amiri Diwan     |     
  • Bangladesh’s stock market tumbles at week’s start     |     
  • Police disperse teachers' rally in front of National Press Club      |     
  • New Law to Fully Protect 93 pc of Bank Depositors     |     
  • Nationwide Typhoid Vaccination Drive Begins for Children     |     

ঢাকায় সমাবেশের আগে জঙ্গি ধরার নামে গ্রেপ্তার-হয়রানির অভিযোগ বিএনপির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2022-12-05, 9:13am




ঢাকায় ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণ-সমাবেশকে সামনে রেখে গত ৩০শে ডিসেম্বর থেকে চৌঠা ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত চারদিনে ১০৩১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঢাকা জেলা আদালতে জঙ্গি ছিনতাইয়ের এক ঘটনাকে যুক্তি হিসাবে তুলে ধরে পুলিশ  মেস, আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে ব্লক রেইড চালাচ্ছে।

জঙ্গি ধরার অভিযানের নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

পুলিশ কী বলছে?

গ্রেফতার প্রসঙ্গে পুলিশ বলছে, এর সাথে বিএনপির ঢাকা সমাবেশের কোন সংযোগ নেই। বিএনপির এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলছেন তারা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পহেলা ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে নেমেছে।

বিএনপি’র সমাবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এ ব্যাপারে ডিএমপির মুখপাত্র মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, আসন্ন ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে যেন কোন নাশকতার অবতারণা না হয় সেজন্য ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে এই অভিযান চলছে।

তিনি বলেন, এই বিশেষ অভিযান ডিএমপির নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ এবং এর আওতায় ঝুলে থাকা মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়।

ফারুক হোসের বলেন, “এই বিশেষ অভিযানে লক্ষ্য থাকে যারা পেশাদার অপরাধী, অবৈধ অস্ত্র রাখে, মাদক ব্যবসা করে তাদের গ্রেফতার করা। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, ওয়ারেন্ট আছে তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর বাইরে কাউকে নয়।”

“মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সারাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। কোথাও যেন কোন নাশকতা না হয় সেজন্যই এই অভিযান।”

সমাবেশের বিকল্প ভেন্যু খুঁজছে

বিএনপির সমাবেশের আর ছয় দিন বাকি থাকলেও জায়গা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এখনও সমাবেশ-স্থল হিসেবে এখনও নয়াপল্টনের কথাই বলছেন বিএনপি নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে দলটির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ তীর ছাড়া ঢাকার ভেতরে অন্য কোনও বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব পেলে তারা বিবেচনা করে দেখবেন।

তবে এখনও নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করার ব্যাপারে দল অনড় অবস্থায় রয়েছে বলে জানান মির্জা আলমগীর। যে কোনও স্থানে সমাবেশ করাকে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার বলে তিনি দাবি করেন।

তবে বিএনপি নেতারা আজ বিএনপি কমিশনারের সাথে দেখা করলে তাদেরকে বিকল্প ভেন্যু খোঁজার কথা বলা হয় বলে জানান ডিএমপির মুখপাত্র মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, “ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে বিকল্প ভেন্যু খোঁজার কথা বলা হয়েছে। বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং মতিঝিলের উপ পুলিশ কমিশনার আরামবাগ, পল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভিজিট করবেন।”

তবে ডিএমপির প্রত্যাশা বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি যে সহিংসতার আশঙ্কা করছে সেটি ঠেকাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মি. হোসেন বলেন, “বিএনপি আশঙ্কা করছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলে অন্য কোন রাজনৈতিক দল ঝামেলা করতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, যেহেতু ডিএমপি অনুুমতি দিয়েছে তাই ওই সমাবেশ সফল করতে ও নিরাপত্তা দিতে তারা সব ধরণের সহায়তা দেবে।” তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।