News update
  • UN Calls for Calm in Bangladesh After Protest Leader’s Killing     |     
  • DMP issues 7 traffic directives for Osman Hadi’s Janaza     |     
  • Vested quarter fuelling chaos to impose new fascism: Fakhrul     |     
  • Hadi’s namaz-e-janaza at 2:30pm Saturday     |     
  • Jashore’s Gadkhali blooms with hope; flowers may fetch Tk4 bn      |     

সেই ইমামকে ‘স্যরি’ বলে কোলাকুলি ইউএনওর

গ্রীণওয়াচ ডেক্স খবর 2023-10-16, 7:47am

resize-350x230x0x0-image-243895-1697396241-d4e2fd937b31eb8e4d83764587e04e211697420840.jpg




কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম ভুক্তভোগী সেই ইমামের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন। রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমানের মধ্যস্থতায় ইউএনও ও ইমামের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসা করে দেওয়া হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী ইমাম মাওলানা আবুল বাসার, ইউএনও ফোরকান এলাহী অনুপম এবং শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া।

তিনি বলেন, সামান্য একটা ঘটনাকে খুব বড় করে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ইউএনও এবং ইমামের মাঝে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। উভয়পক্ষের কথা শুনে যতটুকু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে।

শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার বলেন, গণমাধ্যমের শক্ত অবস্থানের কারণে এমন একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে। ইউএনও ইমামের কাছে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। ইমাম আবুল বাসারও লালামাইয়ের ইউএনও মহোদয়কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

ইমামের চাকরি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউএনওকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। তিনি চাকরি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে ইমাম সাহেবকে পানিতে চুবানোর কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের সময় কাতার সোজা করতে লালমাই উপজেলার ভাটরা কাছারী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল বাসার ইউএনও ফোরকান এলাহী অনুপমকে গায়ে হাত দিয়ে সরিয়ে কাতার সোজা করেন। পরে নামাজ থেকে বের হয়ে ইমাম জানতে পারেন যে তিনি লালমাই উপজেলার ইউএনও।

বিষয়টি জেনে তিনি ইউএনও ফোরকান এলাহী অনুপমকে বলেন, ‘স্যার আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। ক্ষমা করে দেন’।

এতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনি কত বড় ইমাম হয়েছেন তা এখনই বুঝবেন। আপনাকে এখন পানিতে চুবাবো। আপনার ইন্টারভিউ হবে, আপনি কীভাবে ইমাম হলেন তা জানবো ইত্যাদি বলে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন আপনার আর নামাজ পড়ানোর দরকার নেই। এখন থেকে এই মসজিদে আপনার চাকরি নেই।

পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হলে, পরদিন শনিবার (১৪ অক্টোবর) দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। পরে রোববার (১৫ অক্টোবর) সারা দিন মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপনে থাকেন ইমাম মাওলানা আবুল বাসার। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।