News update
  • UN Chief Condemns Russian Attacks, Warns of Nuclear Risks     |     
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     
  • Khulna falls short of jute output target for lack of incentives     |     
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     

তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ফিরছেন স্থানীয়রা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-02-13, 7:58am

hsrturu-9936191c47f8eb13821538698cfb89e61707789569.jpg




বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির আতঙ্কে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা ফিরেছেন নিজ নিজ গ্রামে।

এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জে‌রে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দুপু‌রে ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন তারা।

এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথ‌মে বান্দরবান সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা এখানে কোনো সমস্যা দেখ‌তে পাইনি। আমার মনে হচ্ছে যে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এরআগে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। তবে রোববার রাতে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সাথে বিদ্রোহী আরকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষে সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।

সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলার, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিমকূলে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে সীমান্ত লাগুয়া গ্রাম। গোলাগুলির শব্দে অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারীরা। গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাড়ি এলাকার শত শত পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেন ২৮টি পরিবারের ১৪০ জন সদস্য। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি সীমান্তের কাছাকাছি ১টি মাধ্যমিক ও ৫টি প্রাথমিকসহ ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি ভালোর পথে তাই কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ স্কুলে পাঠদান শুরু হবে।