Water - Impact of a drop of water on a water-surface. Roger Mclassus. Creative Commons.
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর পরিচালনা পরিষদের সভা প্রতি দুই মাস অন্তর হতেই হবে। প্রয়োজনে অনলাইন মাধ্যমে এই সভা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হতে হবে। তিনি টেকসই প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের তাগিদসহ আগামী সভায় সকল প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরার নির্দেশ দেন। এছারা প্রকল্প এলাকায় স্থানীয়দের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেয় হবে যারা কাজের মানের ব্যাপারে মতামত দিবে। এছাড়া নদী হতে বালু উত্তোলনের সময় দেখতে হবে বালু উত্তোলনের ফলে কোনোরূপ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে কী না।
রাজধানীর পানি ভবন সভাকক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের ৪৬তম সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় আলোচ্য সূচি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব মোঃ মুজিবুর রহমান। প্রথমে ৪৫তম সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন ও নিশ্চিতকরণ করা হয়। এছাড়া তিস্তা ব্যারেজ, বিলুপ্ত বি.আর.ই, শরীয়তপুর পওর একটি করে শাখা স্থানান্তরপূর্বক সংযোজন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত সেচ প্রকল্পে সেচ সার্ভিস চার্জ এবং পানি ভবনে একটি মেডিকেল সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
সভায় জানানো হয়, যেখানে ব্যক্তি পর্যায়ে সেচ দিতে খরচ হয় ৪ হাজার ৫শ’ টাকা সেখানে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কৃষকের কাছ থেকে নিচ্ছে মাত্র ৪শ’ ৫০ টাকা। সেচের জন্য যে পরিমাণ পানি কৃষকের জমিতে দেওয়া হবে ঠিক সেই পরিমাণ পানির জন্য সার্ভিস চার্জ যথাযথভাবে আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। এছাড়াও সার্ভিস চার্জ পুননির্ধারণ ও আদায় পদ্ধতি ঠিক করার তাগিদ দেন তিনি। বোর্ডের জমি লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি আইন ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেন। প্রতি দুইমাস পর পর এই সভাটি নিয়মিত আহ্বানেরও উল্লেখ করে তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদসহ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।- তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩০