News update
  • Heatstroke kills 30 in Thailand this year as kingdom bakes     |     
  • 160 pilot whales beach on Australian west coast, 26 die     |     
  • 282 million people faced acute hunger in 2023, worst in Gaza      |     
  • Weapons to be laid down if a 2-state solution is done: Hamas     |     
  • 3 new BD Supreme Court Appellate Division judges take oath     |     

আপাতত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান

গ্রীণওয়াচ ডেস্কঃ খবর 2022-02-07, 6:02pm

jayed-a491a6fe45388701f5b4049a3dc386691644235463.jpg




বাংলাদেশের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটে জয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

মি. খান আজ হাইকোর্টে এক রিট পিটিশন করলে আদালত আগামী তেরই ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দেয়, এবং প্রার্থীতা বাতিল কেন অবৈধ হবে না সেই প্রশ্নে রুল জারি করে। খবর বিবিসি বাংলা।

এর ফলে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়ে রবিবার শপথ নিলেও নিপুন আকতার স্থগিতাদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

মাত্র কয়েকশো সদস্যের এই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে একের পর এক নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

এর সর্বশেষ সংযোজন ছিল ভোটে জেতার নয় দিন পর সাধারণ সম্পদাক জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিলের ঘটনা। নির্বাচন কমিশন জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও আপিল বোর্ড আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত নেয় এবং নিপুন আকতারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে।

তার পরদিনই অন্যান্য নির্বাচিতদের সাথে শপথ গ্রহণ করেন মিজ আকতার। শপথ গ্রহণের এক দিন যেতে না যেতেই আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান।

মি. খানের আইনজীবি আহসানুল করিম বিবিসিকে বলেন "আজ হাইকোর্টে একটা রিট পিটিশন ফাইল করেন জায়েদ খান। এর প্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করে বলেছে নিপুন আকতারের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করা হল। এবং সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হল"।

রুলের উপর পরবর্তী শুনানী হবে আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি।

রুলের পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন।

গত আটাশে জানুয়ারির নির্বাচনটি উত্তপ্ত ছিল মূলত সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঘিরেই। এ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছিল সরগরম।

নির্বাচনের পর চারশরও কম ভোট প্রায় সারারাত ধরে ঘোষণার পর পরদিন সকালে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তীতে পরাজিত প্রার্থী নিপুন আকতার জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন এবং নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ আনেন।

এই প্রেক্ষাপটেই আপিল বোর্ড অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করেছে বলে শনিবার বিবিসিকে জানিয়েছিলেন আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।

নিপুণ আকতারের যেসব অভিযোগ

নিপুণ আকতারের যে অভিযোগটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সেটি হল এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করেছেন সেই পীরজাদা শহীদুল হারুনের বিরুদ্ধে। নিপুণ অভিযোগ করেন যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার প্রতি অশালীন মন্তব্য করেছেন।

নিপুণ আকতার ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, "সকাল বেলা তিনি (পীরজাদা শহীদুল হারুন) আমার দুই গালে দুইটা কিস চাচ্ছে। সেখানে আমার দুইজন নারী প্রার্থী ছিল। আমার উচিত ছিল তার ঐ দুই গালে দুইটা চড় মারা, যেটা আমি করি নাই। উনি যখন এই কথাটা বলেছে তখন আমার ঐ দুই নারী প্রার্থী দেখেছে। তখনি আমার চড় মেরে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল।"

তিনি বলেন, তার মনে হয়েছে আগে এই অভিযোগগুলো সংবাদমাধ্যমে আসা উচিত।

নিপুণ আকতার বলেছেন বনানী থানায় তিনি একটা জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন "অভিযোগটা মিথ্যা, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।" "দুষ্টুমি বা মজা করেও" তিনি এমন কোন কথা বলেন নি।

অভিনেতা এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনের দিন ভোটারদের টাকা দিয়ে ভোট কেনার ব্যাপারেও অভিযোগ করেন নিপুণ আকতার।

মোবাইলের মেসেঞ্জারে টাকা লেনদেন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বার্তার স্ক্রিনশট অভিনেত্রী নিপুণ আকতার সাংবাদিকদের দেখিয়েছিলেন ওই সংবাদ সম্মেলনে।

এতসব অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেছিলেন, "সম্পূর্ণ বানোয়াট। একটা ক্লোন করে আমার একটা ছবি দিয়ে একটা প্রোফাইল খুলে স্ক্রিনশটগুলো রেডি করে ছেড়ে দিয়েছেন। আমি খুব দ্রুত ঐদিনই সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম যেন খুঁজে বের করে কারা আসলেই এই কাজ গুলো করেছে। প্রয়োজনে আমি মামলা পর্যন্ত করবো।"

তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে "তথ্য-সন্ত্রাস" করা হচ্ছে।

আপিল বোর্ড যা বলেছে

এর আগে নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের দিনই ফল ঘোষণার কথা কিন্তু সেটি করা হয়েছে পরদিন ২৯শে জানুয়ারি যা বিধিবহির্ভূত।

"এতে প্রতীয়মান হয় নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ফল ঘোষণা করেছে। আর নির্বাচন কমিশনের দুজন সদস্য জানিয়েছেন যে কমিশনের চেয়ারম্যান বিষয়টি আমলে না নিয়ে এক তরফা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।"

তিনি বলেন, দুই ভোটার জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও সদস্য প্রার্থী চুন্নু নগদ অর্থ দিয়েছেন এবং কিছু ভিডিও ফুটেজে প্রমাণ হয়েছে অর্থ দেয়ার অভিযোগ সত্য।

"এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিলের নিয়ম আছে। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হলো। জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় অপর প্রার্থী নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করছি। আর চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় নাদের খানকে সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করছি"।