News update
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     
  • CPJ denounces Trump administration's action against AP     |     

আনারের দেহাংশ অনুসন্ধানে যোগ দিচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-03, 7:11pm

unnamed-4af52202f77beb11ba59ce2056aa78781717420315.jpg




ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় খুন হয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন তথ্য মিললেও তার মরদেহ বা দেহাংশের নিশ্চিত কোনো খোঁজ এখনও মেলেনি। দেড় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আসামিদের বিভিন্ন তথ্যের ওপর নির্ভর করে বেশ কয়েকটি জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। এ অবস্থায় আনারের মরদেহের অংশ খুঁজতে এবার ভারতীয় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা নিতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।

সোমবার (৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি বলেছে, ভারতীয় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড বাহিনীর কাছে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাদের ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালালে এমপি আনারের দেহাংশ উদ্ধার করা যেতে পারে। এরই মধ্যে ভারতীয় কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে পরিবারকে চিকিৎসার কথা বলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত হয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এ সংসদ সদস্য।

প্রায় ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার ২২ মে আনারের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসে। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানতে পারে, এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে কলকাতার ভাঙ্গড় এলাকার কৃষ্ণমাটি ও জিরানগছা খালে।

এ তথ্যের ভিত্তিতে কৃষ্ণমাটি ও জিরানগাছার বাগজোলা খালের পানিতে নামানো হয়েছিল কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের। কিন্তু সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় তদন্তকারীদের। নিজেদের কাছে থাকা উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করেও মরদেহের টুকরো উদ্ধার করতে পারেনি তারা।

এরই মধ্যে আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিন আসামি— শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর ভিত্তিতে হত্যা-রহস্য উদঘাটন ও ভারতের তদন্ত দলকে সহায়তার জন্য ২৬ মে প্রতিনিধি দল নিয়ে কলকাতায় যান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সেখানে অবস্থানকালে তিনি কলকাতা সিআইডিকে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া বাড়ির সুয়ারেজ লাইন, কমোড ও সেপটিক ট্যাংক ভেঙে দেহাংশের সন্ধান করতে অনুরোধ করেন।

হারুন অর রশীদের অনুরোধে ২৮ মে বিকেলে কলকাতা পুলিশ ভবনটির স্যুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংকে দেহাংশের খোঁজে অভিযান চালায়। সেদিনই সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়, সেটির সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশকিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার হয়।

তবে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেগুলো ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি ফরেনসিক টেস্টে প্রমাণ হয় যে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের, তাহলে সেগুলো এমপি আনারের কি না তা জানার জন্য তার মেয়ে কিংবা ভাইকে ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতায় ডাকা হতে পারে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।