News update
  • Dhaka concerned at dwindling funds for Rohingyas     |     
  • Rohingya crisis in uncertainty; WASH sector faces challenges     |     
  • HRW delegation meets Commission of Inquiry on Disappearances     |     
  • US Chargé d'Affaires Ann Jacobson to Meet Political Parties in BD      |     
  • With trees in flowering farmers hopeful of bumper mango crop     |     

এমপি আনার হত্যা: শিমুল-তানভীরের জামিন নামঞ্জুর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-11, 12:12am

wetwetwe-a34eb0c8f0ff3eaa029a7ad3734a116b1718043128.jpg




সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা মামলার আসামি শিমুল ভূইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভূইঁয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ জুন) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এই আদেশ দেন।

এ দিন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী সোহেল আমিন জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আসামিরা নির্দোষ-নিরাপরাধ। ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একাধিকবার তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে কোনোকিছু উদ্ধার হয়নি। তাদের স্থায়ী ঠিকানা আছে। জামিন দিলে পলাতক হবেন না। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।’

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানান। গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউ টাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। পরে ফোন দেবো।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পনা করে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছেন।

মামলা দায়েরের পর শিমুল ভূইঁয়া, তানভীর ভূইঁয়া ও সিলিস্তা রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাদের। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেনে।  আরটিভি