News update
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     

সাদিক অ্যাগ্রোর দম্ভচূর্ণ, হলো না শেষ রক্ষা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-27, 2:11pm

rytewtwwe-87b12934251d1fdb27792ab9356ff8b81719475902.jpg




দম্ভচূর্ণ হলো সাদিক অ্যাগ্রোর। মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে ব্যবসা করার সত্যতা মেলায় ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একাংশ। এছাড়াও উচ্ছেদ করা হয়েছে অন্যান্য দখলদারদেরও। সিটি করপোরেশন জানায়, খালে পানি প্রবাহ ফেরাতে কোনও অবৈধ দখলদারদেরই ছাড় দেয়া হবে না।

ছোটখাট চুরি কিংবা ছিনতাই নয়, রীতিমতো ডাকাতি। সাদিক অ্যাগ্রো নদী দখল করে গড়ে তুলছেন নিজের সম্রাজ্য। সিটি করপোরেশনের বার বার নোটিশের পরও অনড় প্রতিষ্ঠানটি।

এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে রামচন্দ্রপুর খালের অন্যসব দখলদারদের সাথে সরে যেতে শুরু করে সাদিক অ্যাগ্রো। সরিয়ে নেয়া হয় খামারের অধিকাংশ গরু-ছাগল। তবে সকাল থেকেই অজানা কারণে অনুপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শাহ ইমরান হোসেন। পাঠান তার এক প্রতিনিধিকে। তাদের দাবি, খালের জায়গায় নেই তাদের কোনও স্থাপনা।

এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছত্রছায়ায় খাল দখল হওয়ার অভিযোগ থাকলেও তিনিও কথা বললেন ভিন্ন সুরে। জানান, সাদিক অ্যাগ্রো কিংবা অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।

এবারের কোরবানির ঈদের সময় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার চাঁদ উদ্যানের পাশে রাস্তা দখল করে খামারের নামে হাট বসিয়েছিল সাদেক এগ্রোসহ বেশি কয়েকটি ফার্ম। আর বর্জ্য ফেলেছে খালের পানিতে। পুরনো ছবি/ভিডিও থেকে নেয়া

তবে সিটি করপোরেশন এসেও পড়ে দ্বিধাদ্বন্দে। ঢাকঢোল পিটিয়ে অভিযানে এলেও শুরুতে খুঁজেই পাচ্ছিলো না সাদিক অ্যাগ্রোর সংশ্লিষ্টতা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু'ঘণ্টা পর বেলা ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাকাব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসানের হস্তক্ষেপে ভোল পালটে যায়। ভূমি জরিপের পর সামনে আসে আসল চিত্র। রামচন্দ্রপুর খালের অনেকটা জায়গা দখল করেই চলছে তাদের ব্যবসা।

এরপরই উচ্ছেদে নামে ডিএনসিসি। এক্সেভেটর ও বুলডুজারসহ বিশেষ যান দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় সাদিক অ্যাগ্রোর একাংশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান জানান, খালে পানি প্রবাহ ফেরাতে কোনও অবৈধ দখলদারদেরই ছাড় দেয়া হবে না।

এদিকে, সকালে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদের খবর পাওয়ার পর খাল দখল করে থাকা অন্য বাসিন্দারা নিজেরাই সরে যেতে শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, সরে যাওয়ার জন্য খুব কম সময় পেয়েছেন তারা।

দখলমুক্ত করার পর মাটি সরিয়ে খালে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।