News update
  • State mourning begins, state funeral for Khaleda Zia at 2 pm     |     
  • Kamal Hossain: Khaleda Zia was ‘a patriot and democratic guardian'     |     
  • High medicine prices threaten healthcare of poor communities     |     
  • Curtain falls on a political giant as Khaleda Zia passes into history     |     

ঢাকায় একে একে বের হয়ে আসছে ধ্বংসলীলার চিত্র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-07-23, 8:51pm

uhjyhjjkj-43eec9e4560a19db09cbb680817abd2f1721746895.jpg

রামপুরায় আফতাব নগরে পুলিশ ফাঁড়ি লুট করে পুড়িয়ে দেয় সহিংসতাকারীরা। ছবি: সময় সংবাদ



চতুর্থ দিনের মতো ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে কারফিউ। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বের হয়ে আসছে দুর্বৃত্তদের চালানো ধ্বংসলীলার চিত্র। রাজধানীর আফতাব নগরে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির চিত্র দেখলে বোঝা যাবে, কী ধরনের তাণ্ডবলীলা সেদিন তারা চালিয়ে ছিল।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অন্যান্য সরকারি স্থাপনার মতো শুক্রবার (১৯ জুলাই) রামপুরার আফতাব নগরে একটি পুলিশ ফাঁড়িও লুট করে পুড়িয়ে দেয় সহিংসতাকারীরা। আর এক্ষেত্রেও অন্যান্য স্থানের মতো আগে সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে সহিংসতাকারীরা।

ভয়ানক তাণ্ডবলীলা চালানো হয় এ পুলিশ ফাঁড়িতে, সেখানে আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ পুলিশ ফাঁড়িতে যত পুলিশ সদস্য ছিলেন, তাদের মারধর করা হয়েছে, অনেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়েছেন। শুধু আগুন নয় চালানো হয় লুটপাটও। কোনো কিছুই আর নেই ব্যবহার উপযোগী সেখানে। সিসি ক্যামেরাগুলো আগে ভাঙা হয় যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারে। এ এলাকায় বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে, রাজধানী যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থাপনার ধবংসলীলা। জনজীবন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অকার্যকর করার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় হামলাকারীরা। পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন স্থাপনা মেরামত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সংশিষ্টরা।

এছাড়া গত কয়েকদিনের নাশকতার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সময় সংবাদ

তবে চলমান পরিস্থিতিতে অচলবস্থা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। মার্কেট ও ফুটপাতের বেচাকেনা লাগাতার বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি, তাদের ক্ষতির পরিমাণ দিনে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা। বন্ধ দোকানপাট সহসাই চালু করা না গেলে অর্থনীতি বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা তাদের।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের জাহান ম্যানশনে কাপড়ের দোকানের মালিক মাহবুবুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে তার ব্যবসাসহ মার্কেটের সব দোকানপাট। টানা এক সপ্তাহ বন্ধের পর চলমান কারফিউয়ের মধ্যেই, মার্কেটের সামনেই বিক্রির আশায় অল্প কিছু কাপড় নিয়ে বসেছেন।

তার মতোই, জরুরি অবস্থায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন মার্কেট কিংবা ফুটপাতে ব্যবসা করা দেশের অন্তত ২ কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী।

যেকোনো প্রেক্ষাপটে দেশের সব দোকানপাট বন্ধ থাকলে একদিনেই ক্ষতি হয় অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার-এমন দাবি করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা এমন কোনো সহিংস আন্দোলন চান না, যা সংকটে ফেলে দেশের অর্থনীতিকে। তাই দোকানপাট চালু করতে সরকারের সহযোগিতা চান।

আন্দোলনকারীদের শাটডাউন ঘোষণায় গত মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে যায় রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলো। আর গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে জারি করা কারফিউ আরও বিপাকে ফেলেছে এসএমই ব্যবসায়ীদের।