News update
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     

কলাপাড়ায় ১৫ আগষ্টে উপজেলা পরিষদ মসজিদে দোয়া মিলাদ

আলীগের ডাক সাইটে নেতারা লাপাত্তা

খবর 2024-08-16, 12:15am

kalapara-upazila-a679247e9fb0aee63da0fdd41381e88d1723745740.png

Kalapara Upazila



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পালিত হয়নি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দেয়ায় স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কোন কর্মসূচি পালন করা হয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জানায়নি কেউ। তবে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগষ্ট পালন না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, গত ১৫ বছর দলের পদ পদবী দখলে রেখে যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তারা এখন কোথায়?, আবার কেউ বলছেন, দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাদের কাছে দলের পদ পদবী বিক্রী করা হয়েছে তারা কই?

সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কারের আন্দোলন  দানা বেঁধে উঠতেই দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠা নেতারা। এদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান সহ ডাক সাইটের একাধিক নেতা।  এছাড়া ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেয় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদের সিংহ ভাগ নেতা। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল কমিটির নেতা কর্মীরাও।

উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী জানায়, দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তিন তিনবার ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলা, নির্যাতন আতঙ্কে নেতা কর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট পালন করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে উপজেলা বিএনপি'র একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর বিএনপি'র অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতন, হামলা মামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অথচ আমরা শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনার পতনের পর দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়, তবে তা ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ১৫ ই আগস্ট পালন করার তথ্য জানা যায়নি। - গোফরান পলাশ