News update
  • Guterres tells UNSC two-State option near point of no return     |     
  • 14-year-old Suryavanshi smashes record-breaking T20 century     |     
  • If the US Nuclear Umbrella Collapses, Will it Trigger a Euro-Bomb?     |     
  • Israeli restrictions on UN bodies in Gaza highlighted at ICJ     |     
  • Lightning strikes kill 11 in six Bangladesh districts     |     

রাঙ্গামাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ডিসি-এসপি, ক্ষতিতে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-09-22, 2:38pm

grtreyeyete-d278b60584442c90b514cfd9001c40241726994282.jpg




রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি–বাঙালি সংঘর্ষের জেরে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হলেও অবরোধের কারণে দুই জেলার জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এ কারণে দুই জেলায় বন্ধ ছিল দূরপাল্লার যানবাহন। খোলেনি অধিকাংশ দোকানপাট। খাগড়াছড়ি শহরের বেশ কিছু স্থানে অটোরিকশা চলাচল করলেও রাঙামাটি শহরের অভ্যন্তরেও কোনো যানবাহন চলছে না।

এদিকে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের হ্যাপির মোড় এলাকা থেকে বনরূপা বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান। এ সময় পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান এ সময় বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা কোর কমিটি থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতি নিরুপণের পর আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। সকলকেই পুনর্বাসন করা হবে।

জেলা পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। দোষী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কলা, জাস্বুরা, পেঁপেসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আসে। কিন্তু অবরোধের কারণে এসব পঁচনশীল মালামাল তারা রাঙামাটির বাইরে পরিবহন করতে পারছেনা। এতে দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

এদিকে ধীরে ধীরে রাঙামাটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার অবরোধের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। সকালে জেলা সদর থেকে সব রুটে যান বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরের অভ্যন্তরীণ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি অটোরিক্সাসহ ট্রাক, মিনি ট্রাক সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন হওয়ায় এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে বেশি। চাকরিজীবি মানুষদের হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তবে গতকাল থেকে এই পর্যন্ত আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে অবরোধের কারণে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় জানান, সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১৪০০ এর মত পর্যটক অবস্থান করছেন। যেহেতু পর্যটকরা ফিরে যেতে পারেননি, তাই রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটকদের থাকার খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরটিভি