News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

রাজধানীতে আজও ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-11-24, 1:35pm

img_20241124_133537-6d617476d1ab4a85f73dba2012dc97a41732433752.jpg




ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের প্রতিবাদে রাজধানীতে গত কয়েকদিন ধরে টানা সড়ক অবরোধ করছেন রিকশাচালকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজও মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এতে মোহাম্মদপুর-যাত্রাবাড়ীসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে রিকশাচালকরা এই অবরোধ শুরু করেন। যা এখনও চলমান।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করে সকাল সাড়ে ১০টা দিকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড় ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রাজধানীতে আজও ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

মোহাম্মদপুরের মতো যাত্রাবাড়ীর চিত্রও একই রকম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা কাজলার দিক থেকে মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী মোড়ে আসেন। পরে তারা এ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কথা হয় ডিএমপির ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের (যাত্রাবাড়ী) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিত বজায় রাখার চেষ্টা করছি। যাতে জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়। পাশাপাশি আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি, যাতে তারা সড়ক ছেড়ে দেন এবং যান চলাচল শুরু হয়ে জনগণের ভোগান্তি কমে।

এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ, মিরপুর, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। পরে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় তারা জড়ো হন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।

এসব এলাকায় সড়ক অবরোধের পাশাপাশি একপর্যায়ে মহাখালী রেলক্রসিংসহ রেললাইনে অবস্থান নেন তারা। এই অবস্থানের কারণে মহাখালী ও আশপাশ এলাকায় সেদিন সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করায় যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জুরাইন এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন অটোরিকশা চালকরা। এতে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকার রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৪ ঘণ্টা পর ওই দিন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে অটোরিকশা বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা তারা মানেন না। এই নির্দেশ প্রত্যাহারও চান তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সিটি করপোরেশন থেকে প্যাডেলচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার বিধান থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স পেতে রিট করা করা হলে হাইকোর্ট ওই দুই রিটই খারিজ করে দেন।

আরটিভি