News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

একে একে কারামুক্ত হচ্ছেন সাবেক বিডিআর সদস্যরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-01-23, 11:57am

ewrwerwer-8dbb9e9672167b3071ed4f2db0af1a6f1737611862.jpg




পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলাতে জামিন পেয়ে ১৬ বছর পর কারামুক্ত হচ্ছেন ১৭৮ জন সাবেক বিডিআর সদস্য।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিপুর কারাগার থেকে একে একে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সাবেক বিডিআর সদস্যদের। এ সময় কারাফটকের সামনে অপেক্ষমাণ স্বজনদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাস। মিষ্টিমুখ করান বেরিয়ে আসা সাবেক বিডিআর সদ্যদের।

এদিকে, কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেও আজ মুক্তি পাবেন বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় জামিন পাওয়া সাবেক বিডিআর সদস্যরা।

গত ১৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতের আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক ইব্রাহীম মিয়ার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও জামিন শুনানি শেষে বিস্ফোরক মামলার আসামিদের জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, যারা বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল নেই তারা জামিনে মুক্তি পাবেন। একইভাবে হত্যা মামলায় এরইমধ্যে যাদের সাজাভোগ সম্পন্ন হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যদি উচ্চ আদালতে আপিল না থাকে তাহলে তারাও মুক্ত হবেন। তবে কতজন মুক্তি পাচ্ছেন সেটি আদেশের দিন নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

শর্তাবলি পর্যালোচনা করে গত ২২ জানুয়ারি ১৭৮ জনের জামিননামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন হাইকোর্টে। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। পাশাপাশি আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। আর খালাস পান ২৮৩ জন।

তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। ফলে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় দিয়েছে সরকার। সময়