News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

চলছে অপারেশন ডেভিল হান্ট, সারাদেশে কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-02-09, 7:08am

img_20250209_070550-62826b2a11c3fd812a6ff48233905db81739063319.jpg




গাজীপুরে সাম্প্রতিক সময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অনুসারী নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সারাদেশে একযোগে ওই অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে এই যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 

শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে এ সময় তাদের সঙ্গে যুবলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়সল হোসেন জানান, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর ব্যাপারে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিম বলেন, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ধীরাশ্রমের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে, এমন খবর দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।

এ দিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি এবং সেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। তাই অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করবে।

তিনি বলেন, লাইসেন্সধারী বেশিরভাগ অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হলেও লুট হওয়া অস্ত্রের বড় অংশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অস্ত্র প্রবেশ করানোর মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ কারণে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান ফের শুরু হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, পরাজিত কোনো শক্তি যদি জনগণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ অভিযানের নির্দেশনা দিয়েছে।

অপরদিকে হামলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গাজীপুর সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি। হামলাকারী কাউকে ছাড়া হবে না, প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে। যেসব পুলিশ রেসপন্স করতে দেরি করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

নাজমুল করিম খান বলেন, ‘আমি শুনেছি, আমার ওসি দুই ঘণ্টা পর আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হবে। আমি বলতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না।’ আরটিভি