News update
  • Go live together Friday, we stand united: Prof Yunus urges media      |     
  • Bodies of three Bangladeshis killed in India's Tripura handed over     |     
  • Khaleda, Tarique invited to July Charter signing ceremony     |     
  • Climate adaptation could unlock millions of jobs, growth in BD     |     
  • UN Rights Chief Welcomes Bangladesh's Abuse Prosecutions     |     

শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-04-30, 8:17am




মুন্সীগঞ্জ জেলার শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের আগে প্রথম ছুটির দিনেই ফেরিতে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। অনেকেই শিমুলিয়া পর্যন্ত গাড়িতে এসে লঞ্চ বা স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ওপর প্রান্তে গিয়ে আবার গাড়িতে উঠছেন। তাই লঞ্চ এবং স্পিডবোটগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। 
শিমুলিয়া ও মাদারিপুরের বাংলাবাজার এবং শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নৌপথে সকাল সাড়ে ৬ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮৫টি লঞ্চ ও সকাল-সন্ধ্যা ১৫৫টি স্পিডবোট চলাচল করছে। স্পিডবোটে ১৫০ টাকা ও লঞ্চে ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। 
এছাড়া শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির সঙ্গে এবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু রয়েছে। দিনে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরীসহ ১০টি ফেরি চলাচল করছে এবং রাতে চলাচল করছে ৭টি ফেরি। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি (সাত্তার মাদবর) ঘাটে নতুন আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। 
মাওয়া পদ্মা উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন, বিআইডব্লিউটিসি বলেন বহরে একটি রোরো ফেরিসহ ১০ ফেরিতে পরাপার চলছে। কিন্তু অস্বাভাবিক ভিড়ে সমস্যা হচ্ছে। পুলিশ বলছে মোটর সাইকেলের কারণে সঙ্কট বাড়ছে।
শিমুলিয়াস্থ বিআইডব্লিউটিসি সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই মুহুর্তে আমি বলবো ফেরির কোন ঘাটতি নেই। মোটরসাইকেল দিয়ে ঘাট জ্যাম হয়ে আছে। সেখানে ফেরি থাকলেও তো কোন লাভ নেই। এই মুহুর্তে সব ঘাটেই ফেরি আছে। ঘাটের যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। তারা বিষয়টা দেখছেন। ঘাটে যারাই আসছেন তারা শৃঙ্খলা মানছেন না। এলোমেলো ঢুকে যানযট বাঁধিয়ে দিচ্ছেন। এ কারণে অনেক সময় ফেরি থেকে গাড়ি নামতেও সমস্যা হচ্ছে। এতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু পাবলিক বুঝতে চাইছে না এতে তাদের দুর্ভোগই বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিন্তু কার আগে কে যাবে এই প্রতিযোগিতায় ঘাটে সমস্যা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডাব্লিউটিএ আছে। সবাই মিলে সোচ্চার আছি আমরা। সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হচ্ছে। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। 
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশ, নৌ পুলিশ, লৌহজং থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড, সিভিল ডিফেন্স ও আনসার সদস্যরা থাকছে। তথ্য সূত্র: বাসস।