ইউরোপা লিগের ফাইনালে রেঞ্জার্সকে পৌঁছে দেয়ার পর গ্লাসগো জায়ান্টদের অধিনায়ক হামেস টাভার্নিয়ার বলেছেন ‘স্বপ্ন সত্যি হলো’। গতকাল অনুষ্ঠিত সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে স্কটিশ চ্যাম্পিয়নরা ৩-১ গোলে হারিয়েছে আরবি লিপজিগকে। ফলে দুই লেগে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করে রেঞ্জার্স। আগামী ১৮ মে ফাইনালে এইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মোকাবেলা করবে তারা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটেই গোল করে স্বাগতিক রেঞ্জার্সকে এগিয়ে দেন টাভার্নিয়ার। একই সাথে টুর্নামেন্টের শীর্ষ স্কোরারের অসনে পৌঁছে যান তিনি। ৫ মিনিট পর গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সতীর্থ গ্লেন কামারা। ফলে ২৪ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন হাতে নিয়ে নেয় স্বাগতিক রেঞ্জার্স। নিজের গোলটি গত মঙ্গলবার মারা যাওয়া দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা কিটম্যান জিমি বেলকে উৎসর্গ করেছেন মিডফিল্ডার টাভার্নিয়ার।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সফরকারী লিপজিগের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন ক্রিস্টোফার এনকুনকো। ম্যাচের ৭১ মিনিটে তিনি একটি গোল পরিশোধ করলেও শেষ বাঁশি বাজার মাত্র ৯ মিনিট আগে ফের গোল করে জয়ের ব্যবধান আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেন জন লুন্ডস্ট্রাম।
খেলা শেষে টাভার্নিয়ার বলেন,‘ জিমির জন্যই আমরা এটি চেয়েছিলাম। খেলোয়াড়, স্টাফ ও সমর্থকসহ সবার এমন প্রচেস্টায় আমি অনেক বেশী গর্ববোধ করছি। তিনিও সবসময় চাইতেন আমরা যেন গৌরবময় স্থানে পৌঁছে যাই। ইউরোপীয় ফাইনাল, এর অনুভুতি অবিশ^াস্য। এটি এমন একটি বিষয়, যা সবাই স্বপ্ন দেখে।
আমরা পুর্ন আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেখানে খেলতে যাচ্ছি। সেখানে ফ্রাঙ্কফুর্ট অপেক্ষা করছে। তবে আমাদের সামনে (স্বপ্ন পুরণের) মাত্র একটি ম্যাচ। তাই আমরা নিজেদের পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়েই সেখানে যাব। আমরা শিরোপা জয়ের জন্যই এই প্রতিযোগিতায় এসেছি।’
সর্বশেষ ২০০৮ সালে উয়েফা কাপের ফাইনালে জেনিথ সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে হেরে গিয়েছিল রেঞ্জার্স। ২০১২ সালে আর্থিক সংকটে পড়ার পর ফের স্কটিশ ফুটবলের চতুর্থ বিভাগ থেকে নতুনভাবে শুরু করে তারা।
গত মৌসুমে তারা সেল্টিকের টানা নবম লিগ শিরোপা জয়ের অবসান ঘটায়। ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে জয়লাভ করতে পারলে ২০১০ সালের পর প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরতে পারবে তারা। তথ্য সূত্র বাসস।