News update
  • Record-breaking CO₂ surge in 2024 threatens global warming: UN     |     
  • Dhaka stocks tumble as DSEX plunges 80 points     |     
  • July Charter signing to be an occasion of national celebrations: Yunus     |     
  • Passenger bus in northern India catches fire: 20 people burn to death     |     
  • Voting start in Ctg Varsity Central Students Union elections      |     

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হতে পারেন সাবেক স্বৈরশাসক মার্কোসের পুত্র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-08, 7:27am




ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং সারা দুতের্তে। তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বানানো এক ইউটিউব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রচারণার মাঝখানে তারা দুজন হাসছেন এবং বার্গার ও ম্যাঙ্গো শেইকের প্রতি তাদের ভালোবাসা নিয়ে কথা বলছেন। তারপর তারা নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রস্তুত সংক্ষিপ্ত র‌্যাপ সঙ্গীত তুলে ধরছেন।

মার্কোস জুনিয়রের বাবা ছিলেন , প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস, যিনি দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার করেছিলেন এবং লৌহ দৃঢতায় বছরের পর বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। অন্যদিকে,সারা দুতের্তে, সস্তা জনপ্রিয়তাবাদী বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তের কন্যা। রড্রিগো দুতের্তের নিষ্ঠুর মাদকবিরোধী অভিযানে, মানবতা বিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত । দুজনই বিষয়গুলি হালকা করে দেখতে পছন্দ করেন।


তারা বলছেন, “আসুন অতীতের কথা বলা বন্ধ করি, সেই সামরিক আইনের বছরগুলি আসলে কেমন ছিল তা নিয়ে লড়াই-ঝগড়া বন্ধ করি। আসুন সামনের দিকে তাকাই, আসুন এগিয়ে যাই।”


১৯৮৬ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়রকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সেসময় গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠার জন্যে লাখ লাখ মানুষ ‘শান্তিপূর্নভাবে’ রাস্তায় নেমেছিল।


মার্কোস, তাঁর স্ত্রী ইমেলদা এবং তাদের বন্ধুদের কিছু সম্পত্তি জব্দ করে তা বিক্রি করা হয়েছিল। পরে সেই অর্থ ফিলিপাইন সরকারকে ফেরত দেয়া হয়। সে সময় অসদোপায়ে অর্জিত সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিলো, ‘প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন ফর গুড গভার্নেন্স’। বলা হয়, ওই কমিশন ৩৩০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছে।


বাবার বাড়াবাড়ির জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে, মার্কোস জুনিয়র নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে তার শৈশবের ডাকনাম "বংবং" বা "বিবিএম" এবং তার ছবি ব্যবহার করছেন। এছাড়া, ৬৪-বছর-বয়সী এই প্রার্থী, তার পিতার কয়েক দশকের শাসনামলকে সমৃদ্ধি এবং জাতীয় গৌরবের সময় হিসাবে চিত্রিত করেছেন। তবে ওই সময়টা ছিলো দুর্নীতিতে ভরা, দীর্ঘ সময় ধরে চলাসামরিক শাসনের আমলে বিরোধী পক্ষকে অপদস্থ করা হয়েছে, যা ওই সময়ের ফিলিপিনো প্রজন্মের জন্যে ছিল বেদনার বিষয়। মার্কোস জুনিয়র এ সব বিষয়কে এড়িয়ে যান।

দেশব্যাপী বিদ্রোহের সময় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ করে লোকজন ইমেলদা মার্কোসের গহনার সংগ্রহ এবং ১,২২০ জোড়া জুতার বিশাল সংগ্রহ দেখার পর সারা বিশ্বকে চমকে উঠেছিল। ইমেলদা মার্কোস ১৯৯২ এবং ১৯৯৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং দুবারই তিনি হেরে যান৷

৯২ বছর বয়সী ইমেলদা, এখনও ম্যানিলায় বসবাস করেন। দেশে ফিরে আসার পর, তিনি অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি এবং কর ফাঁকি দেয়া সংক্রান্ত প্রায় ৯০০টি দেওয়ানী এবং ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হন। তবে, বেশিরভাগ মামলাই প্রমাণের অভাবে খারিজ হয়ে যায়। আর, কয়েকটিতে দোষী সাব্যস্ত হলেও,আপিলে সেগুলোও খারিজ হয়ে যায়।

অন্যদিকে, রড্রিগো দুতার্তে, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বের প্রথম বছরে, মার্কোসকে রাষ্ট্রনায়কদের কবরস্থানে দাফনের অনুমতি দিয়েছিলেন,যা পূর্ববর্তী প্রশাসন নিষিদ্ধ করেছিলো। তবে, পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন, মানবাধিকার এবং বামপন্থী দলগুলির দ্বারা ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়ে।

৪৩-বছর-বয়সী সারা দুতার্তে-এর সাথে জুটি বাঁধার মাধ্যমে, মার্কোস জুনিয়র তাদের নিজ এলাকা, উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ এবং দুতার্তের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের সমর্থনকে এক সুত্রে বাঁধতে পেরেছেন. যা নির্বাচনে তাকে সুবিধা দেবে।

মার্কোস জুনিয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, তিনি বিরোধীদের অপদস্থ করতে অনলাইন ট্রল ও মন্তব্যকারীদের জন্যে একটি বিরাট বাহিনী ভাড়া করেছেন। মার্কোস জুনিয়র এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ফিলিপাইনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। সরকারি সংস্থা এবং আদালতকে দুর্নীতির বিচার করার বিষয়ে খুব দুর্বল প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখা হয় এবং সেখানে ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান বিস্তর। অনেকের জন্য, ভাল শিক্ষা পাওয়া প্রায় অসাধ্য, এবং বিদেশেই ভাল চাকরি খুঁজে পাওয়া যায়। তথ্য সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।