আগামীকাল রোববার ওয়েস্ট হ্যামকে হারাতে পারলে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি শিরোপা প্রত্যাশী লিভারপুলের থেকে ছয় পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে যাবে।
শনিবার ওয়েম্বলিতে এফএ কাপের ফাইনালে চেলসির মোকাবেলা করবে লিভারপুল। রেডদের থেকে শুধুমাত্র পয়েন্টেই নয়, গোল ব্যবধানেও এগিয়ে রয়েছে সিটিজেনরা। পেপ গার্দিওলার দল জার্গেন ক্লপের দলকে এক্ষেত্রে সাত গোল পিছনে ফেলেছে। গত মাসে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা এই দুই দল ২-২ গোলে ড্র করার পর থেকেই শিরোপা দৌঁড়ে একে অপরের ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলে চলেছে। গত পাঁচ মৌসুমে চতুর্থ শিরোপা লড়াইয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা গার্দিওলার দল সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে ২২ গোল করেছে। লন্ডন স্টেডিয়ামে আরো একটি জয় সিটিজেনদের শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবে।
এ সম্পর্কে গার্দিওলা বলেছেন, ‘সবাই জানে ওয়েস্ট হ্যামে জয়ের অর্থ হচ্ছে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে গোল ব্যবধানে আমরা বেশ খানিকটা এগিয়ে যাবো। সে কারনেই এই ম্যাচটি আমাদের জন্য অঘোষিত ফাইনাল।’
যদিও রক্ষনভাগের ইনজুরি নিয়ে বেশ দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন গার্দিওলা। রুবেন ডিয়াস, জন স্টোনস, কাইল ওয়াকার মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ছিটকে গেছেন। অন্যদিকে অমারিক লাপোর্তে, ফার্নান্দিনহো ও নাথান এ্যাকের ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলতে হলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টপকে যাবার জন্য ওয়েস্ট হ্যামেরও জয়টা জরুরী। ডেভিড ময়েসের দল এই মুহূর্তে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইউনাইটেডের থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। মৌসুম শেষ হতে ইউনাইটেডের হাতে আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।
আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে সিটি, লিভারপুল ও চেলসি। বৃহস্পতিবার আর্সেনালকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেও টটেনহ্যামও এই স্বপ্ন ধরে রেখেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা গানার্সদের তুলনায় স্পার্সরা মাত্র এক পয়েন্ট পিছনে রয়েছে। রোববার বার্নলিকে পরাজিত করলে চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে স্পার্সরা। সোমবার আর্সেনাল নিউক্যাসল সফরে যাবে।
স্পার্স স্ট্রাইকার হ্যারি কেন বলেছেন, ‘অবশ্যই আর্সেনালের বিপক্ষে জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা তাদের উপর কিছুটা হলেও চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছি। কিন্তু তারপরেও বাকি থাকা ম্যাচগুলোতে জেতার বিকল্প নেই।’
টটেনহ্যাম বনাম বার্নলির মধ্যকার ম্যাচের ফলাফল টেবিলের তলানির দলগুলোর উপর বিরাট প্রভাব ফেলবে। বার্নলির সাথে পয়েন্টে সমান হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তলানির থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিডস। এই দুই দলই ১৬তম স্থানে থাকা এভারটনের থেকে দুই পয়েন্ট পিছনে রয়েছে। ইন-ফর্ম ব্রাইটন বিপক্ষে ঘরের মাঠে যদি হার এড়াতে না পারে তবে রেলিগেশন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে লিডসের।
গুডিসন পার্কে ব্রেন্টফোর্ডকে হারাতে পারলে এভারটনের রেলিগেশন সেভ হবে। ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১২ ম্যাচে টফিসরা ১০ পয়েন্ট অর্জণ করেছে, এর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসির বিপক্ষে জয় রয়েছে। এভারটন বস ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘এখনো কাজ শেষ হয়ে যায়নি। একটু ছন্দহীন হলেই বিপদ। সব শেষ হয়ে যাবে।’ তথ্য সূত্র বাসস।