News update
  • Munshiganj General Hospital catches fire; no injury reported     |     
  • Dhaka’s air records ‘unhealthy’ on Monday morning     |     
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     

রোজার আগেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-03-01, 12:21pm

ytututiu-f18b9b84125fb178ea815350119239de1709274111.jpg




সামনে পবিত্র মাহে রমজান। তার আগেই ছুটে চলেছে দ্রব্যমূল্য। রমজান উপলক্ষে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে চলেছে। শাক-সবজির দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করলেও, বাজারে মাছ, মাংস ও মুরগিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে রোজার আগেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।

কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

রমজানে রোজাদারদের ইফতারির তালিকায় অন্যতম খাবার হচ্ছে ফল। তবে রোজার আগে বাড়তে শুরু করেছে এর দাম। বিক্রেতাদের দাবি, ডলার সংকট ও আমদানি শুল্কের কারণে এ বাড়তি দাম। তার ওপর রমজানের বাড়তি চাহিদা তো রয়েছেই।

আর ক্রেতারা বলছেন, রোজার আগেই বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন ফলের দাম। ডলার সংকটের অজুহাত দিয়ে অনেক পণ্যেই এতদিন বিক্রেতারা পকেট কেটেছেন ভোক্তার। এবার শুরু হয়েছে ফলের বাজারেও।

আজ রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৮০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩২০ টাকা, নাশপতি ২৬০ টাকা, আনার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কালো আঙুর ৪০০ টাকা ও কমলা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে এর চাহিদা। এতেও বাড়ছে দাম।

রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিল্লাল নামের এক ক্রেতা জানান, করলা ও ঢ্যাড়শের দাম আকাশচুম্বী। তবে কমেছে অন্যান্য শাক-সবজির দাম। এতে কিছু স্বস্তি ফিরেছে বাজারে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, নতুন করে দাম নির্ধারণ করে দেয়া ভোজ্যতেলের বাজারে দেখা যায়নি দাম নির্ধারণের প্রভাব। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৩ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, এখনও নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি। নতুন তেল এলে দাম কমে যাবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।