News update
  • Yunus to Visit UK in June to Boost Bangladesh-UK Ties     |     
  • Over 100 cattle swept away by tidal surge in Munshiganj     |     
  • Economic Growth Is the Wrong Metric for Our Time     |     
  • Preserving Biodiversity Key to Human Survival: UN Warns     |     
  • Trump Hails $600b Saudi Pact, Jokes Fly Over 51st State     |     

কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়াল কাঁচা মরিচের দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-05-19, 9:40am

drdyreyery-4d9e68e151907841c4ac8ea15be4e3c91716090087.jpg




দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অনেক দিন ধরেই দিশেহারা সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি যেন প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এদিকে গত সপ্তাহে যে রুই মাছ ৪০০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে, সেই মাছের দাম এ সপ্তাহে ৫০ টাকা কমেছে।

কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়।

মাছ বিক্রেতারা বলেন, মাছের দাম সবসময় কমে-বাড়ে। স্থির থাকে না। দাম তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। দাম নির্ধারণ হয় আড়তে। সেখানে দাম কমলেই আমরাও কিছু কম দামে বিক্রি করতে পারি।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে বাজারে মরিচের সরবরাহ কমেছে। ফলে ১০ দিন আগে যে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন খুচরা বাজারে তার দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ এ সময়ে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এক কেজির কম কিনলে বিক্রেতারা আরও বেশি দাম চাইছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন যে মরিচ আসছে, তার মান খুব ভালো নয়। কারণ, গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে এসেছে। ফলনও আগের তুলনায় কম পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারও কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলাম। দুই দিনের মধ্যে দাম আবার বেড়েছে।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, বাজার আরও বেড়ে যাওয়ার আগেই আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, এই সময়ে দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কম থাকে। এবার প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছু মরিচগাছ আগেভাগে নষ্ট হয়েছে। আবার বৃষ্টিতেও কিছু গাছ পচেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে। আর ছোট সাইজের ইলিশের জন্য কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

গেল সপ্তাহে প্রতিকেজি পাবদা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও একই আকারের পাবদা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হওয়া রুইমাছ এ সপ্তাহে কেজিতে ৫০ টাকা কমে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মাঝারি সাইজের রুইয়ের দাম নেওয়া হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩২০ টাকা। আর ছোট সাইজের রুই কেজিপ্রতি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাতলার দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

দাম কমেছে সিলভার কার্প, টাটকিনি এবং পাঙ্গাসেরও। এ সপ্তাহে বড় সাইজের সিলভার কার্প প্রতি কেজি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এ আকারের মাছের দাম ছিল প্রায় ৩০০ টাকা কেজি। ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টাটকিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া চাষের কই কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি ২৪০ টাকায়। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পাঙ্গাস এ সপ্তাহে ১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম বেড়েছে তেলাপিয়া মাছের।

গত সপ্তাহে ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া তেলাপিয়া সপ্তাহ ঘুরে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক মাছ বিক্রেতা বলেন, মাছের দাম সবসময় কমে-বাড়ে। স্থির থাকে না। দাম তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। দাম নির্ধারণ হয় আড়তে। সেখানে দাম কমলেই আমরাও কিছু কম দামে বিক্রি করতে পারি।

বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, দামে তেমন একটা পরিবর্তন দেখি না। মধ্যবিত্তের তো মাছের বাজারে আসতে ভয় লাগে। আমাদের জন্য পাঙ্গাস মাছ ছাড়া আর কিছুই কেনার সাধ্য নেই। তবে অন্য সময়ের তুলনায় এখন দাম কিছুটা কম, এই যা স্বস্তি৷