News update
  • 2025: Resilient Economies, Smart Development, and More Jobs      |     
  • Dhaka rejects India's statement on incident at BD HC residence, New Delhi      |     
  • Stocks end lower; trading falls at DSE, improves at CSE     |     
  • No need to be kind to election disruptors: EC to law enforcers     |     
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     

অর্গানিক ডিমের নামে ঠকানো হচ্ছে না তো?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-10-11, 12:43pm

9b4d48523978d5a96eff1bde70afa5f5a86dbfdffe9ded08-7e406d5aca7a448ceda1f557d82baec21728628992.jpg




একেতো দাম নিয়ে অস্বস্তিতে ভোক্তারা, তার ওপর বিশেষ ধরনের কথা বলে ডজন প্রতি অন্তত ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে অর্গানিক ডিম। সরকারি সংস্থা ভোক্তা অধিকার বলছে, অর্গানিক বলে দাম বেশি নেয়ার কোন কারণ নেই। তাহলে কেন এ দাম বৃদ্ধি? শুধুই ব্র্যান্ডিং, নাকি ঠকানো?

মানবদেহে দরকারি প্রাণিজ আমিষের সহজলভ্য উৎস হিসেবে বরাবরই ডিমের চাহিদা বেশি। খাবার পাতে ডিমের যোগান নিশ্চিতে বাড়ছে উৎপাদনও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, সুস্থ থাকতে একজন মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। বেশি খেলে ক্ষতি নেই। বিপরীতে দেশে বর্তমানে জনপ্রতি বার্ষিক ডিমের প্রাপ্যতা ১৩০টির বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এমন উদ্বৃত্ত হিসাবের পরও ডিম নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড। এক ডজন ডিমের সরকারি দাম ১৪২ টাকা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

এতো গেল খুচরা বাজারে খোলা ডিমের কথা। অর্গানিক বলে যে ডিম বিক্রি করছে করপোরেট প্রতিষ্ঠান, এর এক ডজনের জন্য গুনতে হবে আড়াইশ টাকা বা তার চেয়ে বেশি।

প্রশ্ন হলো, কতোটুকু পুষ্টি ও ওমেগাসমৃদ্ধ অর্গানিক বলে বেশি দামে বিক্রি করা এ ডিমগুলো? আদৌ কি সীসা, ক্রোমিয়াম ও ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর পদার্থ নেই এতে? জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, উৎপাদক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নিয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়েও তা পাওয়া যায়নি।

ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘তাদের যে সার্টিফিকেট দেখানোর কথা ছিল, তা তারা দেখাতে পারেনি। কিন্তু তারা কথা দিয়েছিল প্রতি মাসে না হলেও তিন মাস পর পর তারা ডিমগুলো পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট আমাদের দেখাবে। এ নিয়ে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’

যদিও আরেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, ওমেগা-৩, এখন যদি বলেন এটা শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে, তা কিন্তু না। এটা উন্নত দেশেও মূল্যযোগ করে থাকে। আবার ওখানে যে কিছু ভ্যালু নেই, তা বলা যাবে না। বড় খামারিরা উৎপাদিত ডিমের পরীক্ষা করে এবং ডিমের সাইজ পরিমাপ করে। সবকিছু মিলে একটা মূল্য সংযোজন করে তারা।

একটি সম্পূর্ণ ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাটি এসিড, ৭০ থেকে ৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১৭৫ থেকে ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে। পুষ্টিবিদদের সতর্কতা, ক্ষতিকর খাদ্য উপাদানে লালন-পালন করা মুরগির ডিম খেলে পুষ্টি তো মিলবেই না, বরং হতে পারে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিও।

এছাড়া, বাজারে পাওয়া কোন ডিম কীভাবে উৎপাদন করা হয়, সে নিয়ে কোন তথ্য নেই সরকারি-বেসরকারি কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।