News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

কেন বাড়ছে আলুর দাম?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-11-11, 7:44am

rtertertr-7c910f751872d698fb85a8ace69520801731289485.jpg




অস্থির দেশের আলুর বাজার। যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কেজিতে ২৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। এতে সাধারণ ভোক্তারা বিপাকে। আলুর দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যকে দায়ী করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে হিমাগার মালিকরা বলছেন, বীজ আলুর সংকটে বাড়ছে দাম।

মৌসুমের শুরু থেকে এবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে আলুর বাজার। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে অস্থিরতা যেন থামছেই না। কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। খুচরায় প্রতি কেজির যৌক্তিক দাম ৪৬ টাকা। অথচ ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজারে গত এক সপ্তাহে আলুর দাম নতুন করে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একসময় আলুই ছিল গরিবের ভরসার জায়গা। তবে সিন্ডিকেট করে আবারও আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তবে সরকার নজরদারি বাড়ালে এ দাম কমতে পারে।

আড়তদাররা জানান, প্রতি বছর মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়ে। এছাড়া, কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে পর্যাপ্ত আলু দিচ্ছে না। নতুন আলু বাজারে উঠলে দাম কিছুটা কমবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য, দেশে ৮৫ থেকে ৯০ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। এমন উদ্বৃত্ত হিসাবের পরও কেন বাজারে দাম বাড়ছে? বিষয়টি জানতে চাইলে কোল্ড স্টোরেজে বেশি করে সংরক্ষণ করাই কারণ জানিয়ে ভোক্তার মহাপরিচালক আলীম আখতার খান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা হিমাগারগুলোতে আলু মজুত রেখে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করে থাকতে পারে। আলুর দাম বাড়ার পেছনের কারণ খুঁজে বের করা হবে। এজন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর যখন আলুর হিমাগারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন দাবি করছে, আগামী এক মাসের মধ্যে সব কোল্ড স্টোরেজ ফাঁকা করতে ব্যস্ত তারা। বীজ আলুর চাহিদা মেটাতে গিয়েই বাজারে সরবরাহ কমেছে, তাই দামও বাড়ছে।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, বর্তমানে সংরক্ষণ হচ্ছে না, বরং ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে স্টোরেজ ফাঁকা করার প্রতিযোগিতা চলছে। বাজারে বীজ আলুর সংকট থাকায় খাবার আলুও বীজ আলু হিসেবে বিক্রি হচ্ছে; এতে বাড়ছে দাম।

এদিকে, বাজারে কৃষিপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাহিদা ও যোগানের তথ্য বিভ্রাট কাটানোর দাবি ক্রেতাদের।  সময় সংবাদ